
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি:
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের ফলে আগামী এক বছরে বাচ্চাদের মধ্যে যে পরিবর্তন আমরা দেখতে পাবো, তা দেখে আমরাই চমকপ্রদ হবো। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের বিরাট একটা মানসিক ভূমিকা লাগবে।
বুধবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা এখন হাতে কলমে প্রয়োগ করতে পারার পারদর্শিতা অর্জন করবে। কাজেই পারদর্শিতা পরিমাপের জন্য আগের মতো শুধু খাতা-কলমের পরীক্ষা পদ্ধতিতেও এখন চলছে না। ফলে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন পদ্ধতিতে শ্রেণি কক্ষে বা শ্রেণি কক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা যখনই শিখবে তখনই তার মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়াও বছরে দুইবার তাদের সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে।
তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নিজ নিজ ভূমিকা যথাযথভাবে পালনের ওপর এসময় গুরুত্বারোপ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ (এনসিটিবি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, ঢাকা (মাউশি)।
//জ//