
ছবি সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তরুণরা যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে তরুণী ও নারীদের সাহসী অংশগ্রহণকে তিনি "নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন" হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুটের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, "দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশ যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত ছিল। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন ও তরুণদের অদম্য শক্তি আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।"
তরুণদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব
প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, "তরুণরাই বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু। তাদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের নীতিনির্ধারণ করতে হবে।" তিনি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের উদাহরণ টেনে বলেন, এ সময় তরুণরা শুধু রাজপথে সংঘাতই নয়, সমাজ变革েরও নেতৃত্ব দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান
ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশকে কেবল "ভৌগোলিক সীমানা" না দেখে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তাঁর মতে, "বাংলাদেশের সমৃদ্ধিই পুরো দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের চাবিকাঠি।" এ জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ, সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি ও পরিবহন খাতের উন্নয়নের ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা
তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগানোর কৌশল তুলে ধরে তিনি বলেন, "বিশ্বের অনেক দেশে শ্রমশক্তি সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলছি—তাদের উৎপাদন ইউনিট বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে। আমরা শিল্পের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করব।"
প্রতিক্রিয়া
এই আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, "আপনাদের তরুণদের শক্তি ও নেতৃত্ব আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।"
ড. ইউনূসের এই বক্তব্যে জাতীয় পুনর্গঠনে তরুণদের ভূমিকা ও অর্থনৈতিক কৌশলের দিকনির্দেশনা স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি আগামী দিনের নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ইউ