
ছবি সংগৃহীত
ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ার নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি শিক্ষিত হলেও এখনও কম বেতনের কাজে যুক্ত। একই বয়স ও শিক্ষার স্তরের নারীর তুলনায় পুরুষদের উপার্জন গড়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (IDB) “New Century, Old Disparities” গবেষণা বলছে, ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বেতনের বৈষম্য ২৫ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশে নেমেছে। তবে পার্থক্য এখনও অনেক।
মূল তথ্য:
-
নারীরা ভালো বেতনপ্রাপ্ত পেশার মাত্র ৩৩ শতাংশ জায়গা দখল করেছেন, যেমন আর্কিটেকচার, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং। এই পেশায় বেতনের পার্থক্য ৫৮ শতাংশ।
-
নারীরা সাধারণত শিক্ষকতা, নার্সিং বা মনোবিজ্ঞান মতো পেশা বেছে নেন, যেখানে কম পরিমাণগত দক্ষতা প্রয়োজন।
কেন পার্থক্য আছে:
-
নারীরা প্রায়ই আংশিক-সময় বা স্বনিয়োজিত কাজে যুক্ত থাকেন।
-
পরিবার ও ঘরের দায়িত্বের কারণে শ্রমবাজারে দেরিতে প্রবেশ এবং অনিয়মিত কাজ করেন।
-
ফলে অভিজ্ঞতা ও পেশাগত উন্নয়ন সীমিত হয়, বেতনের পার্থক্য বেড়ে যায়।
সমাধানের পরামর্শ:
-
ঘরের কাজ সমানভাবে ভাগ করা।
-
নারীদের বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়া।
-
শিশু যত্নের সেবা বাড়িয়ে নারীদের আংশিক-সময় থেকে পূর্ণ-সময় কাজে যোগদানের সুযোগ তৈরি করা।
-
বাবা-মার জন্য সমান মাতৃত্বকালীন ছুটি, যাতে কাজ ও পরিবারে সমতা আসে।
জাতিগত সংখ্যালঘুদের অবস্থান:
-
ইকুয়েডর, চিলি, প্যারাগুয়ে, গুয়াতেমালা, ব্রাজিল, পেরু ও বলিভিয়ার সংখ্যালঘুদের বেতনের বৈষম্য প্রধান জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি।
-
গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়েতে সর্বোচ্চ বৈষম্য: যথাক্রমে ৬৮% ও ৬০%।
উপসংহার:
নারীরা শিক্ষিত হলেও পুরুষদের তুলনায় বেতনে পিছিয়ে আছেন। ঘরের দায়িত্ব ভাগাভাগি, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং সমান মাতৃত্বকালীন নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এই বৈষম্য কমানো সম্ভব।