ছবি সংগৃহীত
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মুল্যস্ফীতি খানিকটা কমবে। আর মোট দেশজ সম্পদ বা ডিজিপি প্রবৃদ্ধি হবে ছয় শতাংশ। যদিও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে সাত শতাংশ।
তবে আইএমএফের এমন পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো কাজে লাগছে। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরলেও তিনি মনে করেন, যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তারা খুশি না।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়াল্ড ব্যাংক আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
আইএমএফের ওয়াল্ড ইকোনমিক আউটলুক বলছে, আগামী দুই বছর অপরিবর্তিত তিন দশমিক দুই শতাংশ হারে অর্জিত হবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। তবে এসময় কিছুটা চাঙা হবে ইউরোপ আমেরিকার অর্থনীতি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংস্থাটির পূর্বাভাস, ২০২৩-২৪ এর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ থেকে কমে ২০২৪-২৫ এ হবে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ হবে। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমলেও আইএমএফ বলছে, ধারাবাহিকভাবে কমবে মূল্যস্ফীতি। তবে ঝুঁকি আছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির।
আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ছয় শতাংশ। যদিও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে সাত শতাংশ।
তবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কত হলো তার চেয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা মূল্যস্ফীতি কত কমলো, তা নিয়ে। যাতে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে। এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে এ ব্যাপারগুলো যারা নেতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে দেখে তারা খুশি না।
এদিকে আইএমএফের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা চিন্তায় না থাকা অর্থমন্ত্রী বলেন, সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশ। বলেন, উই আর কামিং ব্যাক অন ট্র্যাক। আমাদের কারণীয়গুলো কার্যকর করা যাচ্ছে। এগুলো ধীরে ধীরে রেসপন্ড করবে, রাতারাতি নয়।
টার্গেট প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বতর্মানে ভালো অবস্থায় আছে। আর এক সঙ্গে তো আর টার্গেট পূরণ হয়না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্ত উদ্যোগে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে, যা জানালো আইএমএফও।
ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা পুরো অর্থনীতিকে গ্রাস করছে তা দূর করা জরুীর। আর এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা, বাড়বে কর্মসংস্থান।
ইউ