ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

English

অপরাধ

৬ হাজার কিশোরিকে নকল জরায়ু টিকা দিয়েছে তারা

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১৬ মার্চ ২০২৩

৬ হাজার কিশোরিকে নকল জরায়ু টিকা দিয়েছে তারা

৬ হাজার কিশোরিকে নকল জরায়ু টিকা দিয়েছে তারা

জরুয়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন (Cervarix) ও দেশে নিষিদ্ধ হেপাটাইটিস-বি (GeneVac-B) ভ্যাকসিন আমদানী করে কয়েকটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে ক্যাম্পেইন করে কিশোরীদের পুশ করত চক্রের সদস্যরা।

দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি কাঁচামাল আমদানি করে নিজেরাই মানহীন টিকা তৈরি করত। এরপর রাজধানী ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজেদের তত্বাবাধায়নেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিশোরী শিক্ষার্থীদের শরীরে পুশ করা হত। 
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাতের অভিযানে বিপুল পরিমান নকল টিকাসহ যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই ধরনের টিকার বাজারদর আনুমানিক প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

এ সময় চক্রের সক্রিয় সদস্য সাইফুল ইসলাম শিপন (২৬), মো. ফয়সাল আহম্মেদ (৩২), মো. আল-আমিন (৩৪), মো, নুরুজ্জামান সাগর (২৪) ও মো. আতিকুল ইসলাম (১৯) কে গ্রেফতার  করা হয়।

বৃহস্পতিবার ( ১৬ মার্চ)  বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশে নিষিদ্ধ হেপাটাইটিস-বি ও জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেন সাইফুল ইসলাম শিপন। এরপর সেগুলো কেরানীগঞ্জের হিমেলের কারখানায় পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তারা আমদানি করা একেকটি পণ্য দিয়ে নকল ১০টি টিকা তৈরি করে। আরা একেকটি টিকা আমদানি করেন মাত্র সাড়ে ৩শ টাকা দিয়ে। আর নকল টিকা তৈরি করে প্রতিটি আড়াই হাজার করে মোট ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করেন। 
এই চক্রটি টঙ্গী, গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, আল নুর ফাউন্ডেশন, ও পপুলার ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা ক্যাম্পেইন করে বিক্রি করত। এই সকল টিকা মানুষের শরীরে পুশ করায় মৃত্যু ঝুঁকি তৈরি করছে। অন্য দিকে মাত্র সাড়ে তিন শ টাকার টিকা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত। 
গ্রেফতারকৃতদের বরাদ দিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, অভিযানে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এই সকল নিষিদ্ধ টিকা আমদানি করে দীর্ঘদিন ধরে নিজেরাই বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে আসছিল। এমন কি চক্রটি এই সকল ফাউন্ডেশনকে ব্যবহার করে গাজীপুর, টঙ্গী ও ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করে টিকি দিত। তারা গত দুই বছরে অন্তত ৬ হাজার কিশোরীকে এই টিকি দিয়েছে। প্রতিটি কিশোরীকে তারা তিনটি টিকা দিত। তারা বুঝাত জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে তিনটি টিকা দিতে হবে। এ জন্য তারা প্রতিটি টিকা আড়াই হাজার করে সাড়ে সাত হাজার করে টাকা নিয়েছে। আমরা এই চক্রে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছি তাদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা যাদের গ্রেফতার  করেছি তাদের আগে রিমান্ডে আনব। তাদের কাছ থেকে আগে জানতে হবে এই সকল ফাউন্ডেশনগুলো চক্রটির সঙ্গে কি ভাবে কাজ করত। তাদের নকল টিকার ক্যাম্পেইন করা অপরাধ আর তারা দুই বছর ধরে এই কাজটি করে আসছিল। আমদানি ও ক্যাম্পেইনের পেছনে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার  করা হবে।
 

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে

গরমে চা খাওয়া কি ঠিক?

তাপমাত্রা কমাতে হিট অফিসারের নতুন উদ্যোগ

কোথায় হবে অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ে?

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

বেড়েছে সবজি-মাংসের দাম

উনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত, বুবলীকে অপু 

চলমান তাপপ্রবাহ রেকর্ড ভেঙেছে ৭৬ বছরের

৭৫ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নরসিংদীতে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা

এক মিনিটের জন্য শেষ বিসিএসের স্বপ্ন

ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিদ্যা বালানের বিস্ফোরক মন্তব্য