ছবি সংগৃহীত
এবার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ফেঁসে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে হয়েছে, ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকি অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদি ওরফে জিম তাকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর পরীমণির অনুরোধে তারা রাত ১২টা ২২ মিনিটে বোট ক্লাবে যান। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পান শেষে আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ওই বোতলের আংশিক মদ পান করেন।
এ সময় বোটক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাছির উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে পরীমণির পরিচয় হয়। পরীমণি নাছির মাহমুদকে কাছে ডেকে নেন। ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরো এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। এ সময় পরীমণি উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন ও নাছির মাহমুদের দিকে অ্যাশট্রে ছুড়ে মারেন। পরীমণির ডিজাইনার বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ ও ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এ সময় পরীমণির ছুড়ে মারা একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। নাছির মাহমুদ রাত আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ক্লাবে পরীমণিদের খাওয়া দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই তারা ক্লাব থেকে চলে যায়। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছি, পিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা পরীমণিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করব। ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
ইউ