
শিক্ষার্থী কুবরাকে মুক্তির দাবি নারীপক্ষের
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দু’টি থানায় পুলিশের করা মামলায় ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা গ্রেফতার হয়ে প্রায় ১১ মাস ধরে কারারুদ্ধ আছেন।
এই মামলা যখন দায়ের করা হয় তখন যাবতীয় নথি অনুসারে খাদিজাতুল কুবরার বয়স ছিল ১৭ বছর কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ মামলার নথিতে তাকে পূর্ণবয়স্ক হিসেবে উপস্থাপন করে।
কারাগারে তাকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের জন্য বরাদ্দকৃত কনডেম সেলে রাখারও অভিযোগ আছে। তিনি তার কিডনিতে পাথরজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন বলেও জানা গেছে। তার লেখাপড়া তো বন্ধ হয়েই আছে। এতদ্সত্ত্বেও বিচারিক আদালত ২বার তার জামিন আবেদন নাকোচ করেছেন!
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত এই জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন। গতকাল আপিল বিভাগ এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন শুনানী পরবর্তী ৪ মাস পর্যন্ত মুলতবী ঘোষণা করেছেন।
খাদিজাতুল কুবরার গ্রেফতার ও কারাবাস, বার বার জামিন আবেদন বাতিল বা স্থগিত হওয়া এবং স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন শুনানী ৪ মাস পর্যন্ত মুলতবী ঘোষণা চরম অমানবিক এবং আইন ও নীতি বিরুদ্ধ, যা বিচারবিভাগের স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
নারীপক্ষ’র দাবি, এই সকল বিষয় বিবেচনা ও পর্যালোচনা করে খাদিজাতুল কুবরাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’ আইনের আওতায় এর আগেও দেশের অনেক মানুষ গ্রেফতার, কারারুদ্ধ ও নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে; এমন কি কারো কারো মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে, যা মানুষের বাক-স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নারীপক্ষ’র দাবি, অনতিবিলম্বে এই কালো আইনটি বাতিল করা হোক।
//এল//