
ছবি সংগৃহীত
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে পৌঁছেছে। চাপের মুখে নেপাল সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
প্রধান বিষয়গুলো (পয়েন্ট আকারে):
-
মৃত্যুর সংখ্যা: পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত। আহত বহু ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
-
বিক্ষোভের কারণ:
-
সরকারি দুর্নীতি ও অসচ্ছলতা বিরোধী তরুণদের ক্ষোভ
-
২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) নিষেধাজ্ঞা
-
২০১৭ সালের নেপাল এয়ারলাইন্স চুক্তি ও রাজনীতিবিদদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ভিডিও ভাইরাল হওয়া
-
-
সরকারের পদক্ষেপ:
-
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন
-
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় বিবেচনাধীন
-
-
বিক্ষোভের বিস্তারিত:
-
স্থান: কাঠমান্ডু, মাইতিঘর এলাকা
-
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগান দেয়: “দুর্নীতি বন্ধ কর, সোশ্যাল মিডিয়া নয়”
-
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছু বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে
-
পুলিশ টিয়ার গ্যাস, ওয়াটার ক্যানন ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
-
-
কারফিউ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
-
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন নিউ বানেশ্বর এলাকাসহ রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে কারফিউ জারি
-
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সমাবেশ, মিছিল বা বিক্ষোভ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
-
-
বিক্ষোভ আয়োজক:
-
হামি নেপাল নামে একটি এনজিও, যা ২০১৫ সালে তরুণ আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল
-
তাদের দাবি: আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা
-
বিশ্লেষক মত:
-
পোখারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইয়োগ রাজ লামিচানে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা অসন্তোষের তীব্রতা বাড়িয়েছে, তবে মূল কারণ তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বঞ্চনা ও দীর্ঘদিনের অবহেলা।
ইউ