ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ১৬ জুলাই ২০২৫

English

সারাদেশ

বাহুবলে দুলাল হত্যা: ঢাকায় তিন ভাই গ্রেফতার

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ৪ আগস্ট ২০২২

বাহুবলে দুলাল হত্যা: ঢাকায় তিন ভাই গ্রেফতার

বাহুবলে দুলাল হত্যা: ঢাকায় তিন ভাই গ্রেফতার

হবিগঞ্জের বাহুবলে দুলাল  মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত কবির মিয়াসহ তিন ভাইকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বাহুবল থানা পুলিশ। তারা হলেন- বাহুবল উপজেলার শংকরপুর এলাকার মো. জিলু মিয়ার পুত্র মো. কবির মিয়া (৪২), মো. শাহীন মিয়া (৩৫), মো. অহিদ মিয়া(২০)। 

বুধাবার (৩ আগস্ট) বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২আগস্ট ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে বাহুবল থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম খান জানান, শংকরপুর  জনৈক মর্জিণা ওরফে মরির বাড়ির সামনে রাস্তার উপর ঝড়ে বাঁশ হেলে পড়ে রাস্তা চালাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একই এলাকার সিএনজি চালক জনৈক জুলহাস মিয়া ওই বাঁশ নিজ দায়িত্বে কেটে দেন। বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে শংকরপুর গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ কবির মিয়াসহ আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এসময় দুলালসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পথে দুলাল মিয়া মারা যান। অন্যান্য আহতদের অশংঙ্কাজনক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাহুবল সার্কেল (এএসপি) মো. আবুল খয়ের,  অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুল ইসলাম খানসহ থানার অন্যান্য অফিসার ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

ওসি আরা জানান, এ ঘটনার রাতে নিহতর স্ত্রী আমিনা খাতুন বাদী হয়ে কবির মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  রাতেই অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত দুলা মিয়া, কাজল মিয়া, সাবু মিয়া. আ. শহীদ, ইমরুল কবিরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত কবির মিয়া পালিয়ে ঢাকায় এবং কুমিল্লা জেলায় আত্মগোপন করে থাকে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে মূল আসামি কবির মিয়াসহ ৩ ভাইকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছোরা জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে প্রধান ৩ আসামির (আপন ভাই)  সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এপর্যন্ত  ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, শংকরপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ি ও রশিদের গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁশ কাটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে গত ১৪জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন স্থানীয় গোসাই বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

ইউ

জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকাদানে বাংলাদেশের অগ্রগতি

গোপালগঞ্জে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ১৪৪ ধারা জারি

১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট, সময়সূচি ঘোষণা

সোহাগ হত্যার পেছনে রাজনীতি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব

’জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা

গোপালগঞ্জে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা

ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো ‘নৌকা’ প্রতীক

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন

এক ম্যাচে দুই মাঠ, শান্তির হ্যাটট্রিকে জয় বাংলাদেশের

আদালত প্রাঙ্গণে বাশারকে কিল-ঘুষি ও ডিম নিক্ষেপ

আকস্মিক বন্যায় তলিয়েছে নিউইয়র্ক-নিউজার্সি

১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণা

প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়নি এনসিপি, দিতে হবে আরও নথি

হেফাজতের আক্রমণে সুশীল সমাজ নীরব, তবু পিছু হটেনি নারী সংস্কার কমিশন