ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ৩০ জুলাই ২০২৫

English

ভ্রমণ

জাপানের পথে --পর্ব-১

সৈয়দ আমিন উল্লাহ

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ২৬ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৫:৩৫, ২৭ অক্টোবর ২০২২

জাপানের পথে --পর্ব-১

জাপান

আজ থেকে প্রায় ৫০বৎসর আগের কথা চাকুরিরত অবস্থায় JICA স্কলারশিপে জাপানের পথে পা বাড়ালাম। ব্যাংকক, হংকং হয়ে জাপানে এসে মনে হলো স্বপ্নপুরী। বিশাল ঝক্ ঝকে তক্ তকে রাস্তা। সারিসারি আকাশ চুম্বি দালান। থাকার স্থান হলো জাপানের রাজধানী ‘টোকিও' শহরের ৪০ তলা হোটেলে। হোটেল লবিতে যেই প্রবেশ করলাম কেতা দুরস্ত বেয়ারা কোমর ও মাথা ঝুঁকিয়ে বল্লো: আরি গাতু গোদাই মাছ অর্থাৎ স্বাগতম, আমি উত্তরে বললাম, কই মাছ,ইলিশ মাছ। বিশ্রামশেষে বের হলাম বৈকালিক ভ্রমণে রাস্তার পাশে পাশেই দেখি সুন্দর সুন্দর বক্স এর ভিতর নানান ধরনের পানীয়। ছিদ্রতে পয়সা ফেলে বোতান টিপতেই পছন্দমত পানীয় বের হয়ে আসলো। পানীয় পান করতে করতে এগিয়ে গেলাম কিছুদূর সম্মুখে দেখি কাঁচ দিয়ে বেষ্টিত একটি রেস্তোরা ভেতরে লোক বসে পানাহার করছে। ইচ্ছা হলো চা খাব কিন্তু প্রবেশ পথতো খুঁজে পাই না। ব্যাপার কী এরা রেস্তরায় ঢুকলো কীভাবে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যে। হঠাৎ দেখলাম, এক ব্যক্তি হোটেলের একটা নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়ালো আর আস্তে করে কাঁচের দরজা দুদিকে চলে গেল আর লোকটা ভিতরে প্রবেশ করলো। আমি এগিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ালাম প্রবেশদ্বার পেয়ে ঝট করে ঢুকে পড়লাম। এ যেন আরব উপন্যাসের চিচিংফাঁক এর খেলা। রেস্তোরায় ঢুকে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিলাম। চা পান করার পর দাম হলো আমাদের দেশের কারেন্সি অনুযায়ী ৩৫/ টাকা ওরে বাপরে! চা খাওয়ার তৃষ্ণা মিটে গেল! এরপর আর চা খাওয়ার চেষ্টা করি নি।

পরের দিন সমন্বয়কারি হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত এক জাপানি ভদ্র লোক আমাদের  নিয়েগেলেনক্লাসে। যাওয়ার সময় অন্যান্য দেশের সহপাঠীগণ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়ান, মিশরিও ব্যাংকক, শ্রীলংকা অন্যান্যদের সাথে আলাপ হলো ও খাতির হলো। রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে মাসিক টিকেট কাটা হলো। ট্রেনটির নাম বুলেট ট্রেন। ট্রেনটি এসে দাঁড়ালো। অটোমেটিক দরজা খুলে গেলে সকলে তড়িৎ গতিতে উঠে গেল। খুব বেশি দুই মিনিট ট্রেনটি অপেক্ষমান থেকে উল্কা গতিতে চলতে শুরু করলো। “কোবে” বন্দর শহর আমাদের গন্তব্য স্থানে এসে গেলাম। শিপিং কোর্স করতে এসেছি তাই বন্দরের কর্মকাণ্ড দেখানো হলো। বহু জাহাজ বন্দরে ভিড়ে আছে পণ্য বোঝাই। খালাস হচ্ছে। এখানে যা দেখছি সবই নতুন। প্রায় সবই অটোমেটিক সব কিছু কম্পিউটারাইজড। বন্দরের ভিতর থেকৈ প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডের রিপোর্ট একটি চোঙ্গার মধ্যে ফেলছে এটা সোজা অফিসে এসে যাচ্ছে। অফিসে ঘুরিয়ে দেখানো হলো কম্পিউটারে সমস্ত তথ্য মজুত আছে ২০ বছর আগের জাহাজের খবরা খবর মিনিটের মধ্যে পর্দায় চলে আসলো। এরা কোন ফাইল রাখে না।

জাপানের পথে - ২
এরপর নিয়ে আসা হলো JICA অফিসে। একজন শিক্ষক শিপিং অপারেশন ও ব্যয় সংকোচন এর উপর বক্তব্য রাখলেন। কথা প্রসঙ্গে বললেন জাপানের নিজস্ব তেমন সম্পদ নেই কিন্তু জিনিষ তৈয়ার করার জন্য ম্যাটেরিয়ালস বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় তারপর চাহিদা মোতাবেক নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে জিনিষ তৈয়ার করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুদ্ধ খাতে ব্যয় সংকোচনের কারনে জাপানের আর্থিক অবস্থা খুবই ভাল । এরা আমেরিকান ট্যাকনোলজী গ্রহণ করে এদের মত করে এটার উন্নতি সাধন করে। ক্লাস শেষ হওয়ার পর ঐ দিনের জন্য টাকা দেওয়া হলো। ক্লাস শেষে বের হয়ে পড়লাম ।

ফিলোপাইনো যে ছেলেটি ও খৃস্টান, মিশরীয়, ইন্দোনেশিয়ান, আমরা তিনজন মুসলিম,ব্যাংকক থেকে যিনি এসেছেন উনি একজন মহিলা ইনি আর শ্রীলংকার ছেলেটি বুদ্ধিষ্ট। নামগুলো আজ মনে নেই, মন মত নাম দিয়ে দিলাম। ফিলিপাইনো ছেলেটির নাম দিলাম এন্থনি। মিশরিওর নাম ‘হাফিজ’। ইন্দোনেশিয়ান ছেলেটির নাম ‘সোহ্রাব’ ব্যাংককেরমেয়েটির নাম ‘মেরি’ । শ্রীলংকার ছেলেটির নাম ‘এন্ড্রো’। ক্লাস থেকে বের হয়ে আমরা দুটো গ্রুপ হয়ে গেলাম। এন্থনি, এন্ড্রো, হাফিজ আমি এক গ্রুপ। সোহ্রাব আর মেরি সাথি হয়ে গেল । পয়সা হাতে এসে গেছে। অতএব চল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কিছু কেনাকাটা শুরু করি। ঢুকে গেলাম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কী বিশাল দোকান এস্কোলেটরে উপর দিকে উঠছি আরো উপরে। একেকটা শো রুমে ঢুকছি আর আকাশ চুম্বি দাম শুনে আৎকে উঠছি। এবারএস্কোলেটারে নিচের দিকে নামতে শুরু করলাম। নামছি তো নামছি ‘আরে কোথায় যাচ্ছি’ বহুদূর আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে গেছি। এখান থেকে বের হবো কীভাবে আমরা নানান জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক কষ্টে বের হলাম। দেখলাম রাস্তা দিয়ে সোহ্রাব আর মেরি হাত ধরা ধরি করে হাসতে হাসতে এগিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার অপর দিক দিয়ে এক আফ্রিকান দুজন জাপানী মেয়েকে বগল দাবা করে হেঁটে আসছে।

জাপানের পথে - ৩
রাত্রি নেমে এসেছে চারিদিক রাস্তা দোকান পাট সব নানা রং বেরং-এর বৈদ্যুতিক আলোয় সজ্জিত। পাউরুটি, কলা নিয়ে হোটেলে ফিরে ডিনার সেরে নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। ঘুমতো আর আসেনা। স্ত্রীর কথা মনে হতে লাগলো মনটা মোচড় দিয়ে উঠলো ও ছাড়া একা কখনও কোথায়ও থাকিনি। রাত্রি যত বাড়তে লাগলো মন তত আনচান করতে লাগলো, রাগ হতে লাগলো। তার তাগিদেই আজকে এখানে আসা আর এমন মনকষ্ট মনে হচ্ছিল দৌড়ে পালিয়ে যাই। দুঃখী মন নিয়ে চিঠি একটা লিখে ফেললাম। এবার সময় কাটাবার জন্যে টেলিভিশনের নব ঘুরাতে লাগলাম। যে চ্যানেলই ঘুরাচ্ছি দেখি সুমোদের কুস্তি হচ্ছে এই বিড়াট বিড়াট বপু রিং এর ভিতর দুই হাত ধরে ঠেলা ঠেলি করছে। অনেক্ষণ ঠেলা ঠেলির পর যখনি একজন কুস্তিগীর কাত হয়ে পড়ে যায় সে আর উঠতে পারে না এত ভারি। এই কুস্তি জাপানিদের খুবই প্রিয়। এক সময় ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙলো টেলিফোনের আওয়াজে। রিসিভার তুলে শুনলাম একটি মেয়ের কণ্ঠ। It is sixo clock. Please get up আমি বললাম। Ok. টয়লেটে আবারও টেলিফোন বেজে উঠলো। রিসিভারে একই কথা। আমি বললাম। I I have already gotup পরে শুনলাম। আমি রিসেপসনে বলে রেখেছিলাম যেন আমাকে সকাল ৬টায় জাগিয়ে দেওয়া হয়। এরা টেলিফোনে সেই ভাবে সেট করে রেখেছিল। টেলিফোনে বারবার ওঠার তাগিদ দিচ্ছিল।

ক্লাসে যাওয়ার জন্য লবিতে একটু আগেই নেমে আসলাম। দেখি সোহরাব ও মেরি খুব কাছাকাছি বসে চুটিয়ে গল্প করছে। আমাকে দেখে ওরা বলল। গুড মর্নিং। আমিও গুডমর্নিং বলে একটু দূরে বসে পড়লাম। ওদের কথোপকথন শুনছিলাম। সোহরাব নরেচড়ে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে বলছে— “মেরি দুদিন আগে তুমি তোমার দেশ ব্যাংককে এ ছিলে আমি ছিলাম ইন্দোনেশিয়ায় অথচ এখন মনে হয় আমরা কতদিনের পরিচিত কত আপন। মেরি সোহ্রাবের হাতটি টেনে বলতে লাগলো তোমাকে আমার ভিষণ ভালবাসতে ইচ্ছা করছে। পৃথিবীর মানুষের হাসি, কান্না যেমন কমন তেমনি ভালবাসাটাও কমন। এমন আবেগের কথাবার্তার ছেদ পড়লো। কো-অর্ডিনেটর এসে গেলো। এই কোর্সের সকলেই এসে গেলো।

ক্লাসে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলাম। যেতে যেতে ফিলিপাইনের ছেলেটি মি. এন্থনি বললো আমিন উল্লাহ্ রাতে একটি মজার ঘটনা ঘটেছে ক্লাস শেষে শোনাবো।

জাপানের পথে - ৪
যেতে যেতে দেখি এককটি অফিসের সামনে মানুষ জন লাইন করে ব্যায়াম করছে। কোন কোন অফিসের সামনে লোকেরা লাইনে সারিবেঁধে গান করছে।পরে শুনলাম এরা সকলেইঅফিসের কর্মচারি নিয়ম মাফিক প্রবেশের পূর্বে সকলেই প্রথমে ব্যায়াম করে তারপর নিজ নিজ চাকরিরত কম্পানির নামের গুণগান করে গান করে এরপর কম্পানির দেওয়া নাস্তা করে কাজে ন্যাস্ত হয়। খাওয়ার জন্য ব্রেক না হওয়া পর্যন্ত সকলেই এক নাগাড়ে কাজ করতে থাকে। জাপানিরা যখন কোন কম্পানীতে ঢুকে এরা সেই কম্পানির জন্য নিজকে উৎসর্গ করে দেয়।

কোম্পানি এদের ভাল বেতন ছাড়া অন্যান্য প্রাসঙ্গিক খরচাদি সন্তানদের লেখা পড়াসহ সব কিছুই দেখাশুনা করে। দেখতে দেখতে ক্লাসে চলে এলাম। আজকে জাহাজের সিডিউল তৈরি করা, ফরওয়ার্ড প্রোগ্রাম তৈরি করা, সিডিউল সমন্বয় করা ইত্যাদি পদ্ধতি এক্সারসাইজ করানো হলো। ক্লাস শেষে ইনভেলাপে টাকা দেওয়া হলো। খুশি মনে টাকা নিয়ে বের হলাম। দিনের বেলা লোকজন দেখা যায় না। রাত্রি নামলে হুল্লোড় করে লোকজন অফিস ছুটির পর রাস্তায় চলে আসে রাস্তা তখন সরগরম। ফিলিপাইনের মি. এন্থনিকে বললাম, চল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ঘুরে অনেক রাতে হোটেলে ফিরে লবিতে বসে তোমার গত রাতের ঘটনা শোনা যাবে।'

মি. এন্থনিকে নিয়ে সটকে পড়লাম। চলতে চলতে মজার দৃশ্য দেখলাম মেয়েরা প্রায়ই পার্লারে বসে বসে সাজ গোজ করছে। অনেক রাতে হোটেলে ফিরে লবিতে রিলাক্স হয়ে বসে এন্থনিকে বললাম, বলো তোমার মজার ঘটনা। এন্থনি খুব উৎসাহ নিয়ে গত রাতের কথা বলতে শুরু করলো।” রাত্রি ১১টা ঘুম আসছে না। টেবিলের উপর দেখি একটি ম্যাগাজিন পৃষ্ঠা উল্টাতে লাগলাম হঠাৎ দেখলাম এক জায়গায় ম্যাসেজিং লেখা টেলিফোন করলাম একটি মেয়ের মিষ্টি কণ্ঠ, ভাবলাম নিশ্চয়ই সুন্দরী যুবতী আসবে ম্যাসেজ করতে। টেলিফোনে ম্যাসেজের জন্য চাহিদা জানানো হলো। অধির আগ্রহে অপেক্ষমাণ থাকলাম। একটু পরই রুমের বেল বেজে উঠলো। দরজা খুলে দিলাম,একি! বয়স্ক ভীষণ মোটা এক মহিলা পালোয়ানের মত। মহিলাতো ঢুকে পড়লেন। মজার ব্যাপার হলো মহিলা ইংরেজি জানেনা। অতয়েব ইশরায় কথা বার্তা শুরু হলো। মহিলার হাতে বড় একটা তোয়ালে আর লোশন। প্রথমেই আমাকে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নাইট ড্রেস খুলে দিল। ইশারায় উপুড় হয়ে শুতে বলল। শুয়ে পড়লাম। শুরু হলো দলন মলন। মনে হলো কুস্তি গীর কুস্তি করছে। এভাবেই চলল এরপর মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে নিল। আমায় ছেড়ে চলে গেল মনে হলো সুস্থিরতা ফিরে পেলাম। এই ঘটনা কাকেও বলবে না। দেখি অন্যেরাও অজান্তে মজাটা টের পাক।” কাহিনীটা শুনে হো হো করে হেসে উঠলাম।

জাপানের পথে - ৫
রুমে গিয়ে কিছু বিস্কুট আর কলা খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করলাম। এটাই ডিনার হিসাবে চালিয়ে দিয়ে পয়সা বাঁচালাম। ডিনার করার পয়সা বাঁচানো পয়সা আলাদা ইনভেলাপে রেখে দিলাম। পরের দিন আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো একটি স্টিল মিলে। বিড়াট স্টিল মিল। ঢুকতেই দেখি একটি বড় ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জলছে। চারজন খনচায় কোান পদার্থ দিয়ে আগুনে দিচ্ছে। কারখানায় ঢোকার জন্য আমাদের পোষাক পরানো হলো মাথায় হেলমেট। কারখানায় লোক জন দেখতে পাচ্ছিনা অথচ দেখচি একলাইনে আয়রন ওর গলে গলে লম্বা স্টিল হয়ে আরেকটি লাইনে আসছে সেখানে পানির স্পর্শ এসে শক্ত লোহার পাত তৈয়ার হচ্ছে এগুলো আরেকটি লাইনে যাচ্ছে ওখানে মেশিনে সাইজ মত কাটা হয়ে আরেকটি লাইনে রাোাল হয়ে। যাচ্ছে শেষে ট্রেনে ওগুলো লোড হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে এতগুলো কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে প্রশ্ন জাগলাে মনে। প্রশ্ন করে জানতে পারলাম উপরে একজন লোেক ছােট কক্ষে বসে বােতান টিপে সম্পূর্ণ কর্মকাও নিয়ন্ত্রন করছে। এখান থেকে বেরিয়ে আমাদের ক্লাসে নিয়ে আসা হলাে। আজকে শিপিং মার্কোটিং এর ওপর শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন। এর মধ্যে লাঞ্চ ব্রেক হলোে। বিকালে প্রতিদিনের এলাউন্স প্রদান করে ছেড়ে দেওয়া হলোে। খেয়ে টাকা বাঁচিয়ে কেনাকাটা শুরু করলাম। কয়েকদিন কেটে গেল কোন বাঙালি পাচ্ছিনা বাংলা বলতে না পরে হাপিয়ে উঠলাম। মন খারাপ করে হােটেল লবিতে বসে আছি। হঠাৎ দেখি এক ভদ্রলোাক লম্বাটে ধরনের মাথায় টাক সকলের সাথে পরিচিত হচ্ছে। আমার নিকট এসেই হাত বাড়িয়ে বলল। Iam from Bangladesh আমি বসা থেকে ঝট করে দাঁড়িয়ে বললাম, 'আমি বাঙালি'। উনি আনন্দের আতিশয্যে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। দুজন দুজনকে জড়িয়ে বলতে লাগলাম কতদিন বাংলা বলিনি। ভ্দ্রলোকের নাম ভূলে গেছি উনি যশোেহোেরের ডিসি ছিলেন। প্রশাসনের ওপর ট্রেনিং এর জন্য জাপানে এসছেন।

নামতাে মনে নেই ধরে নিলাম শাহাদাত। উনাকে নিয়ে এলাম আমার রুমে। এসেইতা উনি অবাক এত কিছু মার্কটিং কীভাব করলাম। রহস্যটা প্রকাশ করলাম কীভাবে পেট পুরে না খেয়ে কোন বেলা শুধু আইসক্রিম খেয়ে পয়সা বাচিয়ে মা, বাপ, পরিবারের জন্য জিনিসপত্র কিনেছি। শাহাদাত সাহেব খুব উৎসাহ বোেধ করলেন। পরের দিন থেকে শুরু হলো কৃচ্ছ সাধন। শাহাদত সাহেব বেচারা বয়স্ক মানুষ আমাকে অনুসরণ করতে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়লেন। যাব আমরা পূর্বে উনি দেখি পশ্চিম দিক যাচ্ছেন। দেখি উনি এলোমেলাে হয়ে যাচ্ছেন। উনার মাথা ঘােরা শুরু হয়ে গেল, ঠিকমত কথা বলতে পারছেন না। এমন সময় খোজ পেলাম। ইন্ডিয়ান হােটেলের। শাহাদাত সাহেবকে নিয়ে চলে গেলাম হােটেলে সেখানকার বাবুর্চি পাওয়া গেল বাঙালি। আমরা খুশি বাবুর্চি প্রেট ভরে বেশি বেশি করে বিরানি দিল । আমরা পেট ভরে আত্ম তৃপ্তির সাথে খেলাম।

চলবে-------------

//জ//

জনগণের সরকার চাই, কয়েকজনের হাতে ক্ষমতা নয়: তারেক রহমান

নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস: গাজীপুরে বাড়ল, বাগেরহাটে কমল

নোয়াখালীতে গৃহবধূ হত্যা: বিক্ষোভ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫ শুরু বৃহস্পতিবার

নারী, শিশু, দলিত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সর্বাধিক ঝুঁকিতে

খালেদা জিয়া সুস্থ, নির্বাচনে অংশ নেবেন: মিন্টু

ভারসাম্যহীন তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর

নারী পোশাক শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল মনিটরিং টুল

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর চুক্তির পথে বাংলাদেশ

বিটিআরসির নতুন নীতি: ১০টির বেশি সিম বন্ধ

রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, ১৪ দেশে সুনামি সতর্কতা জারি

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু, আবেদন ফি ২২০ টাকা

মুন্নী সাহাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড

অন্তর্বর্তী সরকারের ’এক্সিট’ ভাবনা: দেবপ্রিয়