ছবি সংগৃহীত
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন যে তিনটি তারা দেখা যায়, তার প্রথমটি গেঁথে দিয়েছিলেন সিজার লুইস মেনোত্তি। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো সেই কোচ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতানোর পরই নিজের দায়িত্ব শেষ করে দেননি মেনোত্তি। পরের বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ।
এক বিবৃতিতে এই কোচের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!’
মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি ও বিশ্বকাপ জয়ী কোচ স্কোলনি
মেনোত্তি ১৯৩৮ সালে আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ এর দশকে আর্জেন্টিনার হয়ে ১১টি ক্যাপ জিতেছিলেন এবং তারপর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব এবং দুটি জাতীয় দল পরিচালনা করেছিলেন।
১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিক আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। জয়টি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল, কিন্তু ছিল বিতর্কে ঘেরা। অনেকেই মনে করেন, আর্জেন্টিনার দমনমূলক জান্তা এটিকে একটি অনুপযুক্ত আয়োজক বানিয়েছে।
ওই বছর বিশ্বকাপে মেনোত্তি ১৭ বছর বয়সী ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে বাছাই না করার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। অথচ এর এক বছর আগে ম্যারাডোনাকে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেছিলেন মেনো্ত্তি।
বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে না নেওয়া বিষয়ে ওই সময় তিন সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, তাকে না নেওয়ার প্রধান কারণ সেই খুবই ছোট। তবে তার প্রতি যেমন মুগ্ধতা ছিল, তেমনই ছিল তার যত্নের বিষয়টিও।
ইউ