
ছবি সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশকে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে জাপান সরকার। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির মূল বিবরণ
-
জাপান সরকার ৬৯৫ মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৫৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) অনুদান দেবে।
-
এই তহবিল নির্বাচন কমিশনের ‘ব্যালট’ প্রকল্পে ব্যয় হবে, যার লক্ষ্য স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।
-
সহায়তার উদ্দেশ্য:
-
ভোটার ও নাগরিক শিক্ষা জোরদার করা।
-
নারী, যুবসমাজ ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ানো।
-
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ও প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়ন।
-
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন-এর উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন:
-
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি
-
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যুরোর মহাপরিচালক ইশিজুকি হিদেও উপস্থিত ছিলেন।
জাপান ও ইউএনডিপির বক্তব্য
-
রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, "বাংলাদেশ গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। জাপান অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে।"
-
স্টেফান লিলার ইউএনডিপির পক্ষে জাপানের এই উদ্যোগকে "গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার জন্য মাইলফলক" বলে অভিহিত করেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া
সিইসি নাসির উদ্দিন এ সহায়তাকে "গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংহতকরণে অত্যন্ত সময়োপযোগী" বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই তহবিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবহৃত হবে।
প্রেক্ষাপট
গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নে ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো দেশ ও সংস্থাগুলো কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। জাপানের এই অনুদান ২০২৫ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউ