
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার অভিযোগে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনালাপে শেখ হাসিনা "২২৭ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়েছি" বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে এ বক্তব্যকে আদালত ও বিচারব্যবস্থার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে মামলা দায়ের করে প্রসিকিউশন।
গত ১৯ জুন এ মামলায় পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিযুক্ত করা হয়। যদিও পলাতক আসামির পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের নজির নেই, তবু ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়
বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার শুনানিতে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে শেখ হাসিনার বক্তব্যকে আদালতের মর্যাদাহানিকর ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপমূলক বলে রায় দেন। ফলে তাকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট অপর ব্যক্তিকেও শাস্তি প্রদান করা হয়।
প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ
শেখ হাসিনা বর্তমানে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এই রায়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ইউ