ছবি সংগৃহীত
এবার ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে অভিনব কায়দায় মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এডিসের বিস্তার রোধে টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে চিপসের প্যাকেট, ডাবের খোসা। এডিসের লার্ভা মিললেই জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে যথাযথ তদারকি না করলে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে ডেঙ্গু জনসচেতনতা প্রচার অভিযানের উদ্বোধন করেন উত্তর সিটির মেয়র।
আগেই ঘোষণা দেয়া হয়, ডেঙ্গুর বাহক এডিসের বিস্তার ঠেকাতে পানি জমে এমন পরিত্যক্ত পাত্র কিনে নেবে ডিএনসিসি। মিরপুরের রূপনগর থেকে শুরু হয়েছে সেই অভিযান।ৎ
এডিসের প্রজনন রোধে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আপতত কেবল সতর্ক করা হলেও, ২৭ এপ্রিলের পর থেকে বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে লার্ভা পেলেই মামলা ও জেল-জরিমানা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৭ তারিখ থেকে যে বাসা বা অফিসে লার্ভা পাওয়া যাবে, তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হবে। এটা আমি ঘোষণা করলাম।’
এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নগরবাসী বলছেন, এ উদ্যোগ অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয়। তবে এডিসের প্রজনন রোধে সাধারণ মানুষের সচেতনতাও জরুরি।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদারকি বাড়ানো না গেলে কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। ডেঙ্গু শনাক্তে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি গঠনের পরামর্শ তাদের। নাগরিক সচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, মানুষকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার জন্যই এই জনসচেতনতা ক্যাম্প। যখন এই ক্যাম্পেইন মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত হবে, তখন সেটা যেন সাজানো না থাকে।
ইউ