সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাবেক সংবাদকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের একজন। তার দাবি, মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি।
জানা গেছে, শাবলুল আলম সবুজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। রমনা কালী মন্দিরেও নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল অভিশ্রুতির। সামাজিকভাবে মন্দিরের সবার সঙ্গে ছিল সুস্পর্ক। তিনি কোথাও নিজের বাবা-মায়ের পরিচয় দিতেন না।
শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ের আসল নাম নয়। তার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলবো। দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলবো? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো।
অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর জীবন-বৃত্তান্ততে দেখা গেছে, সেখানে তিনি বাবার নাম লিখেছেন অভিরূপ শাস্ত্রী এবং মায়ের নাম লিখেছেন অপর্ণা শাস্ত্রী। তিনি নিজের বর্তমান ঠিকানা লিখেছেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মৌচাক।
এ বিষয়ে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, গত আট মাস ধরে তার সঙ্গে আমাদের পরিচয়। এসময়ে সে আমাদের মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই কানেক্টেড। যে ভদ্রলোক (সবুজ) শাস্ত্রীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছেন তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। তার পরিবারের সবাই ভারতের বেনারসে থাকেন।
এর আগে সাক্ষাৎকারে দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক গোলাম রব্বানী বলেছেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের হাতে থাকা লাল সুতো (মৌলি সুতো) দেখে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করি। অভিশ্রুতির পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ আমাদের কাছে থাকা তার পরিবারের একমাত্র নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। ইডেন মহিলা কলেজের রাজিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অভিশ্রুতি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিশ্রুতি বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
//এল//