ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

English

মিডিয়া

শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সৈয়দ বদরুল আহসান

উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ৪ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ১৩:১৮, ৪ মার্চ ২০২৩

শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সৈয়দ বদরুল আহসান

শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সৈয়দ বদরুল আহসান

সৈয়দ বদরুল আহসান, বর্ণাঢ্য শিক্ষা এবং কর্মজীবন, কিন্তু কখনো নিজেকে জাহির করেননি বরং থেকেছেন নিভৃতে। তার জন্ম ১৯৫৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারিতে। পাকিস্তানের কোয়েটার সেন্ট ফ্রান্সিস গ্রামার স্কুলে লেখাপড়া শুরু। ঢাকার নটরডেম কলেজ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা। তাঁর কর্মজীবনে দুটি অধ্যায় রয়েছে। একটি হচ্ছে শিক্ষকতা। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এবং ইতিহাস পড়িয়েছেন গ্রীনহেরাল্ড স্কুল, স্কলাস্টিকা এবং ঢাকা ওয়াইএমসিএ এবং নটরডেম কলেজে। নিভিয়া কোর্স পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ।

উল্লেখ্য, সৈয়দ বদরুল আহসানের আরেকটি সাংবাদিকতার অধ্যায় হলো দ্য নিউ নেশন, দ্য বাংলাদেশ অবস্থার- তার (বিলুপ্ত), দ্য মর্নিং সান (বিলুপ্ত), নিউজ টুডে, নিউ এইজ, সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভার এবং এশিয়ান এক্স-এ সিনিয়র বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। সেই সুবাদে দিল্লি, কাঠমাণ্ডু, লাহোর, ইসলামাবাদ এবং ঢাকার সাউথ এশিয়ান মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন এবং সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মিডিয়া সম্মেলনে অংশ নেন। আরো অংশ নেন মনোহর পারিকর আইডিএসএ, নয়াদিল্লি এবং কলকাতা রিসার্চ গ্রুপ, কলকাতা আয়োজিত সেমিনারে এবং দিল্লিতে নিখিল চক্রবর্তী জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসুচীতে। একাধিকবার ছিলেন ভারত সরকার কর্তৃক দিল্লিতে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদলে।

এছাড়াও তিনি বর্তমানে ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক এবং রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষ্যকার। লিখছেন ঢাকা ট্রিবিউন, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (দিল্লি, ওপেন দ্য ম্যাগাজিন (দিল্লি) এবং ইন্ডিয়া ন্যারেটিভ-এ। এছাড়া দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির তুলনামূলক অধ্যয়নের কাজ করছেন ।

 শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব এর আব্দুস সালাম হল এ ব্রাডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব ব্যাপার এ আলোচনা করেন বক্তারা। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক জানান, দেশের সম্প্রচার মাধ্যমের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৮ সালে তাদের নিয়েই গঠন হয়েছিল ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি । সংগঠন পরিচালনায় ছিলো একটি ট্রাস্টি বোর্ড এবং নির্বাহী পরিষদ। আর সাংগঠনিক কাঠামোতে সবার অভিভাবক হিসাবে একজন ন্যায়পাল রাখার বিধান করা হয়েছিল । বলা হয়েছিল, সংগঠনে যদি এমন কোন সমস্যা হয় যেটার সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না, সেসময় সিদ্ধান্ত দেবেন ন্যায়পাল । সেই ন্যায়পাল এমন একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হবেন যার সিদ্ধান্ত সবাই মানতে পারেন। সেই বিবেচনায় সর্বসম্মতিক্রমে বিজেসির প্রথম ন্যায়পাল মনোনীত হয়েছিলেন প্রয়াত শাহ আলমগীর ।

তার জীবনী সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছোট্ট গ্রাম জাফরপুর। নবীনগর উপজেলার এই গ্রামে ইংরেজি ১৯৫৭ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি, বাংলা ১৩৬৩ সালের ১০ই ফাগুন জন্ম শাহ আলমগীরের। বাবা আবু ইউসুফ সরকার কাজ করতেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে। বাবার চাকরির সুবাদে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কাটে শৈশব এবং কৈশোরের বেশিরভাগ সময়। একদিকে স্বচ্ছসোমেশ্বরী অন্যদিকে বিজয়পুরে চীনে মাটির পাহাড় ।

শাহ আলমগীরের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয়েছিল দুর্গাপুরের মহারাজা কুমুদচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুলে। লাইব্রেরি কেন্দ্রিক পড়াশোনা ও সংস্কৃতি চর্চা শুরু হয়েছিল ওই সময়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে পড়েন। ১৯৬৯ এর শেষ দিকে বাবার চাকরির কারণে চলে আসেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। ১৯৭২ সালে গৌরীপুর আর কে হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৪ সালে গৌরীপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন । ১৯৭৫ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৮২ সালে অনার্সসহ স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

কলেজের প্রথমবর্ষেই তিনি জড়িয়ে পড়েন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে । অবশ্য এর আগে দুর্গাপুরে থাকতে বাম আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ কমরেড মনি সিংহ সম্পর্কে জেনেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ শাহ আলমগীরকে আচ্ছন্ন করেছিল সেই কিশোর বয়সেই। সেই মুগ্ধতার পথ ধরেই গৌরীপুর কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।

সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল জানান, সৈয়দ বদরুল আহসান সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আরো সক্রিয় হন রাজনীতিতে । ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকতায় । শুরু করেন কিশোর বাংলা দিয়ে। এরপর দৈনিক জনতা, দৈনিক আজাদ, বাংলার বাণী, সংবাদ, চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন, মাছরাঙা টেলিভিশন, এশিয়ান টেলিভিশনে কাজ করেন।

নিয়মিত চাকরির মধ্যে নিজের বার্তাকক্ষ তো বটেই দেশের অন্যান্য সাংবাদিকদের সুরক্ষা আদায়ের কথা কখনো ভোলেননি তিনি। ১৯৮৭ সালে দৈনিক আজাদে কাজ করতে করতেই ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য হন শাহ আলমগীর। নেতৃত্বের গুণাবলীর কারনে তিনি বিএফই- উজের যুগ্ম-মহাসচিব এবং ডিইউজ'র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য । প্রেস ক্লাবের সব শেষ কাজ হিসাবে তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৩ সালের ৭ই জুলাই থেকে পিআইবির মহাপরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন । আমৃত্যু এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন তিনি। পিআইবির কর্মকর্তা কর্মচারিদের সুরক্ষায় পিআইবি আইন তৈরি তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্যে সরকার গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৫ সালের ১৮ মে। পিআইবিতে থেকেই তিনি অবৈতনিকভাবে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব। পালন করেন । প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে তিনিই এই প্রতিষ্ঠানের একটা কাঠামো তৈরি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা নিয়ে তহবিল গঠন করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। দেশের সম্প্রচার কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার সংগঠন বিজেসি'র ডাকে তাদের ন্যায়পালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এটিই ছিল তাঁর সব শেষ কোন সংগঠনে যুক্ত হওয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে অসুস্থতা বাড়ছিল। দেশ বিদেশ মিলিয়ে চিকিৎসাও চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান রিপোর্টে তাঁর রক্তের ক্যান্সার চিহ্নিত হয় ২০ ফেব্রুয়ারি। পরদিন ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভর্তি হন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে । কখনো খারাপ, কখনো একটু ভাল'র মধ্য দিয়ে কাটে আট দিন । ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এর সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সবার প্রিয় শাহ আলমগীর সব সুরক্ষার উর্ধে চলে গেছেন। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য এ বছর দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার 'একুশে পদক'-এ ভূষিত হয়েছেন তিনি । মরনোত্তর হলেও তাঁকে এ সম্মান জানানোয় সরকারের প্রতিকৃতজ্ঞ তাঁর পরিবার এবং সহকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শাহ আলমগীর এর সহধর্মিণী ফৌজিয়া মায়া, রাশেদ আহমেদ, ট্রাস্টি, বিজেসি, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে এর সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএফইউযে  এর সভাপতি উমর ফারুক সহ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন, রেজোয়ানুল হক, বিজেসি এর চেয়ারম্যান। 

 

--শাওন জামান

//জ//

বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজ ডুবি

হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’

আবার কমেছে স্বর্ণের দাম

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে আইনজীবী নিয়োগ

বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের

সরকারের ব্যর্থতায় খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে: রিজভী

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা

৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা

পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে পাম্প মালিক খুন, যুবক আটক

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

বেনজীরের সম্পদের খোঁজে ৮ প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

নোয়াখালীতে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে ইসতিসকার নামাজ

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী