অরণ্য
বালিকা যেমন রোজ খসড়া খাতা জমিয়ে
নিখুঁত অক্ষর ছিঁড়ে ফেলে,
তার অবশিষ্ট কাজেও সরলতার
বিলোড়ন।
বিদ্যুৎ চমকাতেই,
বিল্ডিং উড়ে যায়,
বালিকা ভয়ে ভয়ে আয়না টেনে আনে।
জুজুবুড়ো বলে, আমরা কাপ্তাহ হ্রদ গিলছি,
সব গিলে ফেলব সরাসরি,,
প্রকৃতি গেলার নেশায় তারা নিজেদের দিকে
দেয়াল ওঠাতে থাকবে,যে পথ দিয়ে
একসময় কেউই হাঁটতে পারবে না।
বালিকা বালিশের তুলো,রাস্তার ধুল ছিটিয়ে এগোয়
বদমাশ টিপ্পনী দিলে
বলে, তোদের মাথায় ইউক্রেন ঢেলে দেব।
বলতে বলতে ধেয়ে আসা সুর্যযানে চড়ে
বালিকা নিজের জগতে আবর্তিত হতে থাকে।
এরপরে ফের লিখতে লিখতে মগজের কোষ রুদ্ধ হলে,
আঙুল কে বলে স্মৃতি মনে রাখতে পারিস না?
চারপাশ এগোচ্ছে,
বারুদ বাড়ছে,,মানুষ টের পাচ্ছে না,
একেক করে তারা পুড়ে যাচ্ছে,,
নিজের গড়া সৃষ্টির দাহ নৈপুন্যের কারণে
দেখা যাচ্ছে না।
ঠিক পালটে যাবে সব, বেশিদিন নেই,
ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত,
বালিকা বারান্দায় ঘুমিয়ে স্বপ্নে গেলে,
অরণ্য নেমে আসে।
//জ//