মাহসা আমিনী
একটা পাখি হয়েও উড়াল পর্দায়
নিজেকে মুড়িয়ে বেড়াতে এসেছিলাম।
প্রকৃতির উদোম চাদর সারাপৃথিবীতে
বাতাস হয়ে, সূর্য হয়ে সুন্দর ছড়িয়ে থাকে।
আমরা তো চলমান গরাদ,
তারমধ্য থাকা বিন্দু দু চোখ
কতটা দেখতে পারে?
ভুলপরা বোরখা তো কোন পুরুষের স্পর্শ পায় নি।
আমার দেহের কোন অঙ্গই মাঠে ছড়ায় নি,
তাও কেন তোমাদের এত ছটফটানি?
তাও কেন তোমারা পাগলা কুকুর?
ঘরের মধ্যে তাও আমার প্রেমের জগৎ
ছিলো,, ভাই উড়তো সোনাপাখি হয়ে,
মা বাবা দিতো ভালোবাসা ওম।
চারপাশে ছিল বৃষ্টির ঝুম,
তাদের কাছ থেকে ছিটকে নিলে?
রক্তমাংস কেটে ফালাফালা করলে?
আমার চিৎকার,, আমার দাহ
অট্টহাসির তলায় প্রাণ চলে যাওয়া,
দেয়ালে দেয়ালে সমুদ্রের স্রোতের মতো
ধাক্কা খেয়ে ফিরে ফিরে এল।
বাইশ বছরের স্বপ্নাতুর নারী,
প্রেতাত্মা হয়ে গেল!
আমি মাহসা আমিনি,
নারী,তুমি যদি চুপ করে থাকো,
সভ্যতা, যদি চুপ করে থাকো,
বলির পাঠায় তোমার কন্যা,
সহোদরা আর আম্মা তোমার
ধীরে ধীরে তারাও রক্তে ছড়াবে,
চারপাশে ঠিক স্থির হয়ে যাবে,
আমার দাহের যামিনী।
//জ//