
ফাইল ছবি
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় থাকা বিতর্কিত ধারাগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী রওশন আলী।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে এই রিট ‘প্রি-ম্যাচিউরড’ বা সময়ের আগেই দায়ের করা হয়েছে। সুপারিশগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হলে, তখন এই বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়া যাবে।
রিটের পটভূমি
৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ২০২৫-এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২-তে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো ইসলামি শরিয়ত, ধর্মীয় অনুভূতি ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে এসব ধারা পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বলা হয়,
-
অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর সমান উত্তরাধিকারের প্রস্তাব শরিয়তের বিরুদ্ধে;
-
বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ;
-
‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধ সমর্থন শরিয়তের সীমা ছাড়িয়ে গেছে;
-
যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতির প্রস্তাব ইসলামি মূল্যবোধ ও সংবিধানের পরিপন্থি;
-
ট্রান্সজেন্ডার ও লিঙ্গ পরিচয়সংক্রান্ত ভাষা ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
আদালত বলেন, এখনো এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি, বরং কমিশনের প্রতিবেদনই শুধু প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলে এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এবং ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী।
ইউ