
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন:
সোমবার জিনপিংকে একটি রুশ সামরিক বাদ্যদল মস্কোতে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। আর পুতিন ‘ন্যায়বিচারের নীতিগুলো পালন’ এবং ‘প্রতিটি দেশের জন্য অভিন্ন নিরাপত্তা’ জোরদারে এগিয়ে আসায় চীনের প্রশংসা করেছেন।
পুতিনের এই প্রশংসার পর তাকে উদ্দেশ করে জিনপিংও বলেন, আপনার দৃঢ় নেতৃত্বে রাশিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। আমি নিশ্চিত রুশ জনগণ আপনার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে উদ্দেশ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান তীব্র সংকট নিরসনে তিনি জিনপিংয়ের দেওয়া ১২ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। গতকাল সোমবার চীনা প্রেসিডেন্টের বহুল প্রতীক্ষিত মস্কো সফরে দুই নেতার বৈঠকের সময় এই কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকের সময় দুই প্রেসিডেন্ট একে অপরকে প্রিয় বন্ধু (ডিয়ার ফ্রেন্ড) বলে সম্বোধন করেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৈঠকে পুতিন বলেন, আলোচনা চালানোর জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।
এর আগে গত মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ১২ দফা প্রস্তাব করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এই ১২ দফার মধ্যে ‘শত্রুতা বন্ধ করা’ এবং ‘শান্তি আলোচনা শুরুর প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু গত শুক্রবার চীনের এই শান্তি প্রস্তাব যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার কৌশল হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, চীন বা অন্য কোনো দেশের সমর্থনে নিজেদের শর্তে যুদ্ধ স্থগিতে রাশিয়ার কোনো কৌশলী পদক্ষেপে বিশ্বকে বেকুব হওয়া উচিত হবে না।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের ভূমি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়—এমন একটি যুদ্ধ বিরতির আহ্বান কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিজয়কে অনুমোদনে সমর্থন করে।
চীনের ওই শান্তি প্রস্তাবে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কথা সুনির্দিষ্ট করে বলা নেই। যদিও ইউক্রেন বারবার জোর দিয়ে বলে আসছে, যে কোনো শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হলো রুশ সেনা প্রত্যাহার।
সেনা প্রত্যাহারের কথা বলার পরিবর্তে প্রস্তাবে চীন সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছে। আর সব পক্ষকে যৌক্তিক ও সংযম ধারণ করতে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করতে বলা হয়েছে প্রস্তাবে। এ ছাড়া প্রস্তাবে ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ নিন্দা জানানো হয়েছে—যা মূলত ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের প্রকাশ্য সমালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
//জ//