ছবি: সংগৃহীত
বিক্ষোভে উত্তাল চারপাশ। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ চলছে শ্রীলঙ্কায়। ইতোমধ্যে গোতাবায়া সরেও গেছেন। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এক জুটির প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার ছবি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ডব্লিউআইওএনের খবর বলছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিক্ষোভকারীরা দখলে নেওয়ার আনন্দে তারা চুমু খাচ্ছিলেন। ছবিটি টুইটারে শেয়ার দিয়ে নিউজওয়্যার ক্যাপশন দিয়েছে, ‘জোড়া গোল। বিক্ষোভকারীরা কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নেওয়ার পর নিজেদের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করছেন এক জুটি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। দেশটির স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনের কাছে পদত্যাগপত্র ইমেইল করেন তিনি।
লঙ্কান স্পিকারের অফিসের একটি সূত্র বলছে, সাংবিধানিক কার্যক্রম শেষ করে গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের খবর ঘোষণা করা হবে। তবে রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেই এই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কিনা; তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন পরেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তার সরে দাঁড়ানোর খবর এসেছে।
বিবিসির খবর বলছে, মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, তার এই ব্যক্তিগত সফরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে তিনি থাকবেন নাকি অন্যত্র চলে যাবেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার একটি সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপে পৌঁছান গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বুধবার তার অবতরণের খবর নিশ্চিত করে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। সিঙ্গাপুর সাধারণত কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ গ্রহণ করে না।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচার থেকে রেহাই পেয়েছেন গোতাবায়া। যে কারণে পদত্যাগের আগে শ্রীলঙ্কা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। কারণ বিক্ষোভের মধ্যে দেশে বসে পদত্যাগ করলে পরবর্তী সরকার তাকে গ্রেফতার করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সরকারি ভবনগুলো থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এ ঘোষণা দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের চেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন তারা।
//জ//