
সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার ৫০বছরে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের চিত্র। স্বাধীনতার পরে চাহিদার ২০শতাংশ ঔষধ উৎপাদন করতে পারতো বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানীগুলো। বাকি আশি শতাংশ ঔষধ আমদানি নির্ভও ছিলো। গত ৫০ বছরে সেই চিত্র পাল্টেগেছে। বর্তমানে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ঔষধই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় রপ্তানি হচ্ছে ১৫৫টি দেশে।
দেশের ঔষধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ৩০ হাজারের বেশী বিভিন্ন রোগজীবানু প্রতিকারের লক্ষ্যে ঔষধ উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয় ১২ হাজার ধরনের বেশি আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হারবাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে দেশে। এসব ওষুধের ৮০ শতাংশ জেনেরিক ও ২০ শতাংশ পেটেন্টেড।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওষুধ ও এর কাঁচামালকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেন। কাঁচামাল তৈরির জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক তৈরির কাজ চলছে। উৎপাদন শুরু হলে দেশের ঔষধশিল্প আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি বলেন, দেশে মূলত ম্যালেরিয়া,যক্ষ্মা,ক্যানসার, পেনিসিলিন, কিডনি, ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ রপ্তানি করে। অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ২০২০ থেকে ২১ সাল অর্থবছরে বাংলাদেশ ঔষধ রপ্তানি করেছে একহাজার ৪৩৪ কোটি টাকা আয় করেছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশের অধিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় খাত। কম দাম ও মানে ভালো হওয়ায় বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে।
এমিকো ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুল ইসলাম পান্না জানান, এখন আমরা ড্রাগ তৈরি করছি, ভ্যাকসিন তৈরি করছি। ভ্যাকসিন রপ্তানিও করছি। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।
মজিবুল ইসলাম পান্না আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো আমাদের অর্ডার দিচ্ছে। সব ধরনের ওষুধ তৈরিতে সক্ষম এবং বাংলাদেশে তৈরি করছি আমরা । এপিআই হওয়ার পর আমাদের এক্সপোর্ট আরও বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশীয় ওষুধের বিদেশি বাজার আরও বড় করতে আসন্ন বিজনেস সামিট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন। তার মতে , দেশের ৯৮ ভাগ ঔষধের চাহিদা আমরা নিজেরাই পুরণ করি ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো বর্তমানে এমন জায়গায় গিয়েছেন, যে আমাদের কিছু কিছু কোম্পানি বিদেশেও ইনভেস্টমেন্ট করেছেন। তাদের যে ইনোভেশন, তাদের যে প্রোডাক্টগুলো তারা কিন্তু সেখানে সেইগুলো প্রদর্শন করবেন এবং পৃথিবীকে তারা দেখাতে চান, তারা কোন মানের প্রোডাক্ট বানাচ্ছেন। এই সামিটে আমরা ওষুধ শিল্পকেও একটা প্রাধান্য দিয়েছি।
//জ//