
ছবি সংগৃহীত
নিজ দেশ মায়ানমারে থাকতেও লিপ্ত ছিল নানা অপকর্মে। সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায়। শরনার্থী জীবনযাপন হয়েও থেমে নেই তাদের দস্যিপনা। শরনার্থীশিবিরে আধিপত্য বিস্তারসহ, তরুণী-যুবতীদের দেহব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে পাচার, মাদক কারবার নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চলছে তাদের খুনাখুনি।
এবার তিনদিনের ব্যবধানে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটলো। কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীর গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পের ই/ ৪ ব্লকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো শামিম হোসেন জানান, এদিন ভোরে ১০/১২ জনের একদল দুষ্কৃতিকারী ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই/৪ ব্লকে অবস্থিত রোহিঙ্গা যুবক ছৈয়দ আলমের ঘরে ঢুকে গুলিবর্ষণ করে দ্রুত সটকে পড়ে। শিবিরের বাসিন্দারা গুলিবিদ্ধ ছৈয়দ আলমকে ক্যাম্পে অবস্থিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এপিবিএন পুলিশ ও উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যাম্পে অভিযান চালায়।
ওসি আরো জানান, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। এরআগে ২৭ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে উখিয়া ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সংঘর্ষে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়। এ সময় আহত হয়েছে আরো পাঁচজন। এরআগে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কুপিয়ে আতাউল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এছাড়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন করা হয় মোহাম্মদ ইউনুসকে। সে কুতুপালং ক্যাম্পের ই/১৫ ব্লকের নুর মুহাম্মদের ছেলে।
উল্লেখ্য, এর আগেও অন্তত অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নেতা, উপনেতা ও সাধারণ রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছেন। তরুণী পাচার, মাদকসহ নানা অনৈতিক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
ইউ