ছবি সংগৃহীত
বগুড়ার আদমদীঘিতে লোহার বেরির (রান্নার কাজে ব্যবহৃত) আঘাতে শাশুড়ি জোবেদা বেওয়া খুনের দায়ে মেয়ে জামাই রাসেল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে (র্যাব) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বগুড়া র্যাব-১২ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলায় সাঘাটা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাসেল আদমদীঘি উপজেলার মিতইল গ্রামের মোঃ সেলিম এর ছেলে। রাসেল তার শশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন।
এর আগে ১০ জুলাই (বুধবার) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার চাপাপুর ইউনিয়নের মিতইল পূর্বপাড়ায় এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ তবিবুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন আদমদীঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত জোবেদা বেওয়া ওই গ্রামের মৃত ছোলেমান আলীর স্ত্রী। তার একমাত্র মেয়ে সালেহাকে আড়াই বছর আগে একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদের সাথে বিয়ে দিয়ে ঘরজামাই রাখেন। ঘরজামাই থাকাকালে রাসেল নানা কারণে তার স্ত্রী সালেহা ও শাশুড়ি জোবেদা বেওয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। গত বুধবার সকালে জামাই রাসেল গাছ কাটার জন্য শ্রমিক হিসেবে অন্য গ্রামে যান। দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাত রান্না করতে দেরি কেন জানতে চান রাসেল। এ নিয়ে রাসেল তার স্ত্রীকে মারপিট শুরু করলে তার মা জোবেদা এগিয়ে এলে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নার পাতিল নামানো লোহার বেড়ি শাশুড়ির গলায় ঢুকিয়ে দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউ