
ছবি: মহিলা পরিষদের লোগো...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
‘সমকাল ও প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের শিকার ছাত্রী হল বিষয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য বিভাগের অফিসকক্ষের সামনে গেলে ওই শিক্ষক তাকে তার নিজ কক্ষে ডাকেন। কক্ষে গেলে তিনি প্রয়োজনীয় দু-একটি কথা বলার পরপরই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা শুরু করে। শিক্ষার্থীর বাবা নেই বলে তিনি নানারকম সাহায্যের প্রলোভন দেখান এবং একা তার সাথে দেখা করে বই নিতে বলেন। এরপর মুঠোফোনে নম্বর নিয়ে মেসেঞ্জারে যুক্ত হতে বলেন। শিক্ষকের কথার ধরণ ও অঙ্গভঙ্গি অস্বাভাবিক মনে হলে ওই শিক্ষার্থী তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ায়। শিক্ষক তখন নিজের আসন ছেড়ে ওঠে আসে এবং ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ভয়ে তার রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে ক্যান্টিনের দিকে চলে যায়। এরপর কিছু সময় অবস্থানের পর আবারো তাকে ফোন দিয়ে চা-নাস্তা খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। যৌন হয়রানির ঘটনাসমূহে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
বিবৃতিতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে।
ইউ