ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ১৬ জুলাই ২০২৫

English

সারাদেশ

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চা সেবা দিচ্ছেন আছর আলী

শাকী খন্দকার:

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চা সেবা দিচ্ছেন আছর আলী

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চা সেবা দিচ্ছেন আছর আলী

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের আছর আলী। মুক্তিযোদ্ধারা তার কাছে অতিথি। তাই মুক্তিযোদ্ধারা তার দোকানে এলে তাদের কাছে  থেকে তিনি টাকা বা পয়সা নেন না।

আছর আলীর ছোট্ট চায়ের দোকান ধনবাড়ী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বাজিতপুর গ্রামের দোকান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়েই তার সংসার চলে। কিন্তু,শুরু থেকেই তার দোকানে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে একটাও পয়সা নেন না তিনি। তাারা চা, পান, কেক যাই খান না কেন টাকা নেওয়া হয়না তাদের কাছে থেকে। 

আছর আলী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি বাড়ির সামনেই ১৯৮২ সালে চা দোকান করেন। তিনি ঘোষণা দেন তার দোকানে মুক্তিযোদ্ধাদের চা খেতে টাকা দিতে হবে না। সেই থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। তিনি তাঁর দোকানের নাম রেখেছেন, ‘মুক্তিসেবা টি স্টল’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই এই নাম তিনি দিয়েছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেতে লড়াই শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, আজকের বাংলাদেশে। যখন এই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন আছর আলীর বয়স ছিল ১০ বছর। তিনি দেখেছেন তাদের এলাকায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছেন যুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গণে লড়াইয়ে অনেকেই শহীদ হয়েছেন, আবার অনেকেই যুদ্ধে আহত হয়ে ফিরে এসেছেন গ্রামে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের দেখলেই সম্মান জানাতেন তিনি। হাতে টাকাপয়সা থাকলে তিনি তাদের চা বা পান খাওয়াতেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের একই রকম শ্রদ্ধা এবং সম্মান করেন আছর আলী। এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ চা পান করে জোর করে টাকা দিতে চাইলেও আছর আলী তা নেন না। প্রতিদিনই কোনও না কোনও মুক্তিযোদ্ধা আসেন এই চায়ের দোকানে।

আছর আলী বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সঙ্গে পরিসেবা দেন তিনি। বছর তিনেক আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আছর আলীর। এতে তার এক পাশ অবশ হয়ে যায়। এখন অন্যের সাহায্য নিয়ে চায়ের দোকানটি চালান তিনি। তার দুই ছেলে কাজ করেন ঢাকায় পোশাক তৈরির কারখানায়। টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বলেন, আছর আলীর চা দোকানটি খুব ছোট্ট। তার খুব কম টাকাই লাভ হয়। অথচ চার দশক ধরে বিনা পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চা-খাওয়াচ্ছেন তিনি। অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ আছর আলী। তাই গ্রামের সবাই  স্নেহের চোখেই দেখেন।

//জ//

এক ম্যাচে দুই মাঠ, শান্তির হ্যাটট্রিকে জয় বাংলাদেশের

আদালত প্রাঙ্গণে বাশারকে কিল-ঘুষি ও ডিম নিক্ষেপ

আকস্মিক বন্যায় তলিয়েছে নিউইয়র্ক-নিউজার্সি

১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণা

প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়নি এনসিপি, দিতে হবে আরও নথি

হেফাজতের আক্রমণে সুশীল সমাজ নীরব, তবু পিছু হটেনি নারী সংস্কার কমিশন

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চাই না: বিএনপির সালাউদ্দিন

ঐকমত্য কমিশনের ব্যর্থতার দায় একা কমিশনের নয়: আলী রীয়াজ

ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত

নির্বাচন কমিশনের ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি

এনবিআরের ৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

তিস্তার ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার: রিজওয়ানা

জুলাইয়ে তরুণদের অবদান চিরস্মরণীয় হবে: প্রধান উপদেষ্টা

গাড়ি থামিয়ে ঘুষ গ্রহণ: ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

বুবলীর নতুন চমক