বেড়েছে পুরনো আইফোনের চাহিদা
হুট করেই বেড়েছে পুরনো আইফোনের চাহিদা। বিশেষ করে জাপানে অতিমাত্রায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত দেশটিতে মূল্যস্ফীতি আর ইয়েনের মান কমায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে দাম বেড়েছে আইফোনের। তাই নতুনের বদলে পুরনো আইফোন কেনার দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জানা গেছে, ডলারের বিপরীতে বর্তমানে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দর গত ৩২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে শিল্প উৎপাদনের খরচসহ বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম, যা বড় প্রভাব ফেলেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার ওপর।
আইফোন ১৩-এর তুলনায় চলতি বছর বাজারে আসা আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন ১৪-এর দাম ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে অ্যাপল। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে প্রায় ২২ শতাংশ মান হারিয়েছে জাপানি মুদ্রা ইয়েন। ফলে নতুন আইফোনের বদলে সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত আইফোন কেনার দিকে ঝুঁকছেন জাপানিরা।
টোকিওর জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক মার্কেট আকিহাবারায় মোবাইল ফোন কিনতে এসেছিলেন ৩০ বছর বয়সী শোগাকু। মায়ের জন্য একটি ব্যবহৃত আইফোন ৮ কিনে তিনি বলেন, জাপানে নতুন সিরিজের আইফোন ১৪-এর দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৮০০ ইয়েন, যা তার নাগালের বাইরে।
বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর একটি পূর্ব এশিয়ার জাপান। পাশাপাশি প্রযুক্তিপ্রিয় জাতি হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে জাপানিদের। গেমস কিংবা স্মার্টফোন, প্রযুক্তি পণ্যের নতুন কোনো সংস্করণ বাজারে এলেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দেশটির নাগরিকরা। বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি দেশটির তরুণ-তরুণীদের আসক্তি চোখে পড়ার মতো।
তবে জাপানিদের এই প্রযুক্তি প্রেমে লাগাম টানছে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট। ফলে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের মান কমে যাওয়ায়, সাধ থাকলেও নতুন প্রযুক্তিপণ্য কেনার সাধ্য হচ্ছে না অনেকের। এই অর্থনৈতিক সংকট অনুভূত হচ্ছে আইফোনের বাজারেও।
অবশ্য আইফোনের দাম বাড়ায় ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে জাপানের ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। দেশটির সেকেন্ড হ্যান্ড প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিলংগস জানিয়েছে, আইফোনের দাম বাড়ার পর থেকেই তাদের ই-কমার্স সাইটে ব্যবহৃত আইফোনের বিক্রি বেড়েছে তিনগুণ। ---রয়টার্স
//জ//