ছবি সংগৃহীত
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে গত বছর ভারতকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলেছিল বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু এবার তেমন কিছুই করে দেখাতে পারল না নিগার সুলতানার দল। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ভারত।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত।
টস হেরে ব্যাট করতে ভালো শুরু পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে নিগার সুলতানার দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের কোনো পাত্তাই দেননি ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালী ভার্মা। ওপেনিংয়ে দুজন মিলে গড়েন ৯১ রানের জুটি। ৮ চারে ৩৮ বলে ৫১ রান করে রিতু মনির বলে আউট হন শেফালী। তবে ততোক্ষণে বাংলাদেশ হারের প্রায় কাছাকাছি।
শেফালীর বিদায়ের পর দ্রুত সময়ের ব্যবধানে আউট হন স্মৃতি। ৪২ বলে ৪৭ রান করেছেন তিনি। গত ম্যাচের সেরা ব্যাটার হেমলতাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রাবেয়া খাতুন। শেষদিকে বাংলাদেশ লড়াই করলেও শেফালী-স্মৃতির ব্যাটেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ভারতের। রিচা ঘোষ এবং হারমানপ্রীত কৌর জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দিলারা আক্তার এবং মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মূলত ব্যাট চালিয়ে খেলেছেন দিলারা আক্তার। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর প্রথম ওভারেই মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৬ বলে ৯ রান করেন তিনি। তবে বাংলাদেশকে বড় ধাক্কাটা দেন রেণুকা সিং ঠাকুর। ২৭ বলে ৩৯ রান করা দিলারাকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
দিলারার বিদায়ের পর রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। হাত খুলে খেলতে পারেননি কোনো ব্যাটারই। চাপ তৈরি করে ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে ২ উইকেট তুলে নেন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল।
শেষদিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন নিগার সুলতানা। তবে নিগারকে সেটা করতে দেননি রাধা। ১৯তম ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউ করে ফেরান রাধা যাদব। ৩৫ বলে ২৮ রান করে ফেরেন ১৯তম তিনি।
ইনিংসের একদম শেষে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ৭ রান করেন রাবেয়া খান। তাতে ১১৭ রানে থামে বাংলাদেশ।
ইউ