ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, ২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

English

রাজনীতি

বাংলাদেশ এখন আর গণতন্ত্র রাষ্ট্র নয়: ফখরুল

উইমেনআই২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ১৭ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ এখন আর গণতন্ত্র রাষ্ট্র নয়: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর:

আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করতে চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর গণতন্ত্র রাষ্ট্র নয়। সকল মানুষের রাষ্ট্রকে মেনে নেওয়ার যে আস্থা থাকে, সেই আস্থাটা হচ্ছে বিচার বিভাগের ওপরে আস্থা। সেই বিচার বিভাগ যখন আক্রান্ত হয়, যখন তার কার্যকারিতা বিনষ্ট হয়ে যায়, তখন সেই রাষ্ট্রের ওপর জনগণের আস্থা কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের যত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তার সর্বোচ্চ ন্যক্কারজনক উদাহরণ আমরা গত বুধবার দেখেছি। আমরা দেখলাম, সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের যে নির্বাচন, আওয়ামী লীগ অত্যন্ত ভয়াবহভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সেখানকার নির্বাচন ব্যবস্থাটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের মানুষের আস্থা ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন কখনো জবরদখল ও কারচুপি হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই কথাগুলো অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে এই জন্যই যে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের কথা বারবার বলি। আমরা যে মানসিকভাবে তৈরি হয়েছি। বাংলাদেশের একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ হবে। সেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে থাকবে। মানুষ তার ন্যায়বিচার পাবে। যখন প্রশাসন দ্বারা আক্রান্ত হবে, সে কোথায় যাবে? সে তখন যায় বিচার বিভাগে। সে বিচার বিভাগে গিয়ে যদি দেখে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে করায়ত্ত হয়েছে, তাহলে সে আর বিচার পাবে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জানি না আজকে আপনারা কতটুকু গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করছেন? কতটুকু আপনার উদ্বিগ্ন হচ্ছেন? এ দেশের যারা সিনিয়র আইনজীবী আছেন, যারা প্রাক্তন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি আছেন, যারা রাষ্ট্রকে নিয়ে চিন্তা করেন, যারা এ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধারা, তারা কীভাবে এ ধরনের ঘটনাকে মেনে নিতে পারেন? এ রাষ্ট্র এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

গণমাধ্যমকে আমরা রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের স্তম্ভ বলি, সেখানেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটছে। প্রেসক্লাবকে দখল করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। অদৃশ্য শক্তি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে সব দখল করা হচ্ছে। তাদের চাপ দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে , যাতে তারা জনগণের দাবিদাগুলো সামনে তুলে না আনতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। এ নির্বাচনকে ঘিরে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ করেছি যে, দেশের অন্য সব নির্বাচনের মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক চরিত্র, তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আইনগতভাবে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও নির্বাচনের নাটক সাজিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ছত্রছায়ায় দেশের কোথাও কোনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের ভোটারাধিকারে বিশ্বাসী নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ করেছি যে, এই সমিতি নির্বাচনের জন্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সমিতির কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও অবৈধ সম্পাদক, যে গত বছর সমিতির নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) নির্বাচিত হওয়ার ৪২ দিন পর পুলিশ ও বহিরাগতদের সহায়তায় সম্পাদকের দপ্তর জবরদখল করে নেয়, ভোট কারচুপির মাধ্যমে একতরফাভাবে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রথমে একতরফাভাবে একটি তল্পীবাহক নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করে। অথচ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যকরী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন সাব-কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। বর্তমান কার্যকরী কমিটিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিতরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এক পর্যায়ে সাধারণ আইনজীবীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে এর আগে দলীয় অনুগত নির্বাচন সাব-কমিটির আহ্বায়ককে পরিবর্তন করে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। যদিও তিনি একজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন, তথাপিও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা তার প্রতি আস্থা স্থাপন করেছিলেন। তিনি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নও করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দুই দিন আগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী তাকে দিয়ে তাদের অনৈতিক ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সম্মত করতে না পারলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন এবং তাদের একান্ত অনুগত একজন দলীয় আইনজীবীকে দিয়ে নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্ত করার আয়োজন করে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী ও সমিতির সাবেক দুজন সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা (বাদল) নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম থেকেই প্রধান বিচারপতিকে সকল ঘটনা অবহিত করে এসেছেন। এমনকি ১৫ মার্চ গুরুতর আহত সাংবাদিক বন্ধুরাও প্রধান বিচারপতির কাছে পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। এরপরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এটা বড় লজ্জার বিষয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, চেয়ারপাসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

//জ//

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলেই ব্যবস্থা

রাজধানীতে হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি

আইএমএফের ৯ শর্ত পূরণ বাংলাদেশের

বগুড়ায় সেই নুরুজ্জামানের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

বানারীপাড়ায় কলা গাছের সঙ্গে শত্রুতা!

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

বিএনপির অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবেন: কাদের

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে প্রাণহানি বেড়ে ১৪

ফরিদপুরে দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বাংলাদেশ সফরের জন্য দল ঘোষণা ভারতের

জামিন পেলেন ড. ইউনূস

গরমে সুস্থ রাখবে যে ৫ খাবার

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখবে যেসব গাছ

রাজধানীতে ফিরেছেন ২১ লাখেরও বেশি সিমধারী