
ছবি: এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের সংবাদ সম্মেলনে...
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০% বৈশাখী ভাতা পায়। তবে তারা (এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীগণ) বাড়ি ভাড়া পায় মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পায় মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পায়২৫% যা অমানবিক ও অযৌক্তিক। উৎসব ভাতা ও বাড়িভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রধানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ সম্ভব বলে মনে করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃৃৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব এর মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন,পাঠ্যক্রম, আইনএবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিগণের সুযোগ-সুবিধা আমির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। বৈষম্য গুলো হলো- বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাইজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা।
উল্লেখ্য, অবসর ও কল্যাণে ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারিগণের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০% করে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে মথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসার মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য অতী জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা একজন শিক্ষক ২৫% উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
জোটের সদস্য সচিব ও বাশিস মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক থেকে কোন ভর্তুকি জাতীয়করণ সম্ভব।" তাই প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারের কোষাগারে জমা নিয়ে জাতীয়করণ ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষার বৈষম্য দুরীকরণে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে আসছি। বেধম কোন কোন মহল থেকে আশ্বাস পেলেও বাস্তবে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই। তিনি শিক্ষক-কর্মচারিগণকে সংগঠিত হওয়ার বান জানান। ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ এর মধ্যে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসলে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন তারা।’
সংবাদ সম্মেলন এ উপস্থিত ছিলেন, জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলাওয়ার হোসেন আঙ্গিনী ও মতিউর রহমান দুলালের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মেয় ইদ্রিস আলী, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এবারের এর প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি অ্যক্ষ আবুল বাশার হাও বাশিস সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি, সমন্বয়কারী মো. রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, আবু রাঙান, আদুল জব্বার, জসিম উদ্দিন সিকদার, ভালুকদার আগুন মন্ত্রাধ, জসিম উদ্দিন শেখ, শাহিদুল ইসলাম, বেনী মাধব দেবনাথ, রক্ত দেবনাথ, জি এম শাওন, মো. শাহ আলম, আবু তালেব সোহাগ, মো. মোস্তফা ভূঁইয়া, মেঘ আদুল হালিম, মো. ফরিদ উদ্দিন, আফজালুর রশিদ, আবুল বাশার নাদিম, মো. মামুনুর রশিদ, মেজবাউল ইসলাম প্রিল, আবুল বাশার, মওলানা আহাদুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন, রাকিবুল হাসান রাসেল, গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন এ সভাপতিত্ব করেন মো: মঈন উদ্দিন,আহবায়ক এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।
ইউ