ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ১৮ জুলাই ২০২৫

English

জাতীয়

গোপালগঞ্জে প্রাণহানির ঘটনায় আসক এর তদন্তের দাবি

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ১৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে প্রাণহানির ঘটনায় আসক এর তদন্তের দাবি

ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র রাজনৈতিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নাগরিক নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি, সকল পক্ষকে সংযম ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবান জানাচ্ছে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র পূর্বঘোষিত একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শেষে হঠাৎ করে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ এই সমাবেশে হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় জনতার ওপর বলপ্রয়োগ করে এবং প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এই ঘটনায় দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১) ও ইমন (২৪) নামের চারজন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে, যাঁদের কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আসক মনে করে, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশ করার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানে নিশ্চিত মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দায়িত্ব হলো এই অধিকার সুরক্ষা করা এবং যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সময়ে উত্তেজনা প্রশমন ও মানুষের জীবনরক্ষা নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকা। গোপালগঞ্জে যেভাবে জনসাধারণের ওপর বলপ্রয়োগ ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড এবং সংবিধান- উভয়েরই চরম লঙ্ঘন, যা একান্তই অগ্রহণযোগ্য।

অন্যদিকে, পুলিশের মহা পরিদর্শক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে জানিয়েছেন, পুলিশ গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার এবং গুলির শব্দ স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে। তাহলে কারা এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করল? আসক মনে করে, এ প্রশ্নের সুস্পষ্ট ও প্রামাণ্য ব্যাখ্যা দেওয়া না হলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, ভয় ও প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা আরও বাড়বে।

দেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযম, ধৈর্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান- এই ধরনের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানি বা সহিংসতার শিকার না হন এবং নতুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

আসক জোর দিয়ে বলছে, এই ঘটনায় নিহত চারজনের মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না। অবিলম্বে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করতে হবে। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকদের ঊপর ন্যাক্কারজনক হামলার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। একইসাথে এ ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। 

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, এই ধরনের বলপ্রয়োগ, গুলি চালানো ও প্রাণহানির ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর, মানবাধিকারের মূল্যবোধ এবং নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি এক ধরনের হুমকি। নাগরিকের জীবন রক্ষা রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। গোপালগঞ্জের ঘটনায় রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালনে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। 

ইউ

ড. ইউনূসের সঙ্গে সোহেল তাজ ও শারমিন আহমদের সাক্ষাৎ

ভুটানকে ৩-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ

৫ আগস্ট সারাদেশে ব্যাংক বন্ধ নিয়ে নির্দেশনা

আ.লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল 

বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে যা বলছে ভারত

হঠাৎ মেট্রোরেলের কর্মচারীদের জন্য নোটিশ জারি

গোপালগঞ্জে কারফিউ সময়সীমা বাড়লো

সাফ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা

তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সীরা ভোটার হবেন

আমরা আবার গোপালগঞ্জ যাব, গ্রামে গ্রামে কর্মসূচি নেব: নাহিদ ইসলাম

জার্নালিজম একটি পবিত্র দায়িত্ব, জনগণের মুখপাত্র: উপদেষ্টা শারমীন

গোপালগঞ্জ সহিংসতা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন

গোপালগঞ্জে অন্যায়কারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে প্রাণহানির ঘটনায় আসক এর তদন্তের দাবি