ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ১৯ জুন ২০২৫

English

জাতীয়

‘ঈদযাত্রায় প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন গড়ে ২৬ জন’

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৮ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:০১, ১৮ জুন ২০২৫

‘ঈদযাত্রায় প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন গড়ে ২৬ জন’

ফাইল ছবি

গত ঈদুল আজহার মাত্র ১২ দিনের ছুটি ঘিরে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ, আর গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১,০৫৭ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণ গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঈদের সময়কালীন (৩ জুন থেকে ১৪ জুন) সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করে সংগঠনটি। এতে বলা হয়, দেশে ওই সময়ে ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১,২১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে ৪৭ জন নারী এবং ৬৩ জন শিশু ছিলেন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়—১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯%। এছাড়া দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪৪ জন পথচারী এবং ৫১ জন চালক ও সহকারী।

মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন ছিল অধিকাংশ দুর্ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু। ঈদের সময়ে ১৪-২০ বছর বয়সী কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া বাইক চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। এ বয়সভিত্তিক গোষ্ঠীর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি।

দুর্ঘটনার ভৌগোলিক ও সড়কভিত্তিক বিশ্লেষণ
* জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি—১৩৬টি (৩৯.১৯%)

* আঞ্চলিক সড়কে ১২১টি,

* শহরাঞ্চলে ৫৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১১৬টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৭ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুহীন একমাত্র জেলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, ছুটি কম থাকায় একযোগে বিপুল মানুষ ঢাকা ছাড়ে। গণপরিবহনের সংকটে অনেকেই বাসের ছাদ, ট্রাক, পিকআপ ও ইজিবাইকসহ অনিরাপদ বাহনে যাত্রা করেন।
এছাড়া:

* ফিটনেসবিহীন গাড়ি,

* চালকদের বিশ্রামহীন ড্রাইভিং,

* টায়ার বিস্ফোরণ,

* অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,

* দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং

* বৈরী আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ছিল অতীতের তুলনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিবেদনে উঠে আসে কয়েকটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা, যেখানে একটি পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন, আবার বাবা-ছেলে (৬টি ঘটনা), স্বামী-স্ত্রী (৩টি ঘটনা), মা-ছেলে (১টি ঘটনা) একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এই অব্যবস্থাপনা বন্ধ সম্ভব নয়। তারা নিম্নোক্ত সুপারিশ করেছে:

* মধ্যমেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ

* রেল ও নৌপথের উন্নয়ন

* বিআরটিসির রুট সম্প্রসারণ

* ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন বন্ধ

* পোশাকশ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান

* চালকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, “এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে হলে কেবল আইন নয়, দরকার রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা, শক্তিশালী নজরদারি ও টেকসই ব্যবস্থা।”

ইউ

ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় কারা থাকতে চান, জানালেন নাহিদ

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২১২ জন হাসপাতালে ভর্তি

ইলেক্টোরাল কলেজ গঠনে একমত নয় বিএনপি: সালাহউদ্দিন 

জামিনে মুক্ত গান বাংলার তাপস

ফেসবুকের ভিডিও কনটেন্টে বড় পরিবর্তন

সিটি ব্যাংক চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা 

দক্ষিণ সিটির সেবায় সরকার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে: ইশরাক

আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দেয়াল ধস, দগ্ধ ৫

তথ্য এখন জাতীয় নিরাপত্তার কৌশলগত অস্ত্র: রিজওয়ানা

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

শিশুর বিকাশে পরিবেশের প্রভাব নিয়ে কাজ করবে ইসিডি নেটওয়ার্ক

ব্যালট প্রকল্পে দুই মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার

ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা

তেহরান ছাড়ার আগে ‘শেষ ছবি’ দিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন ইরানিরা

১১ মাসে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর