
সংগৃহীত ছবি
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে শনিবার সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোলাকিয়ার ঐতিহ্য অনুযায়ী, বন্দুকের ফাঁকা গুলির মাধ্যমে জামাতের সূচনা করা হয়।
ভোর থেকেই হাজারো মুসল্লি দলে দলে মাঠে আসতে শুরু করেন। শহরতলির গাছবাজার এলাকার প্রবীণ মুসল্লি মো. আলী আকবর জানান, তিনি গত ৬০ বছর ধরে এই মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। এবারও নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত। তবে ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লির উপস্থিতি ঈদুল ফিতরের তুলনায় কম থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবারের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। মোনাজাতে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। ঈদগাহ ময়দান তখন ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয় প্রতি বছর। এবারও ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা—বিজিবি, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ডিবি, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থাপন করা হয় ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা। ছিল ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিমও।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত জানান, জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু ছিল।
জনশ্রুতি অনুসারে, ১৮২৮ সালে এ মাঠে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করায় এর নামকরণ হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, যা কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে ‘শোলাকিয়া’। যদিও এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। একটি মত অনুযায়ী, মোগল আমলে এখানে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ‘শ লাখ’, সেখান থেকেই ‘শোলাকিয়া’ নামটির উদ্ভব।
//এল//