
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কাকরাইলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন।
অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিয়ে এসেছি, দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে সম্পূর্ণ শাটডাউন অবস্থায়—কোনো শিক্ষা বা পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না।’
তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমাদের সরিয়ে দিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তার ফল ভালো হবে না। আমি আমার চোখের সামনে কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত পেতে দিতে পারি না।’
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাঁট চলবে না’, ‘হামলার বিচার চাই’ প্রভৃতি স্লোগানে কাকরাইল এলাকা মুখরিত করে তোলে।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ক্লান্তি, বৃষ্টি কিংবা রাতের ঘুম বাদ দিয়েও কেউ আন্দোলন থেকে সরছেন না। অনেক শিক্ষার্থী রাস্তায় রাত কাটিয়ে সকালেও আন্দোলনে অটল অবস্থানে রয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। তবে দুই দিন পার হলেও এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
শিক্ষার্থীদের দাবি:
শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ৩ দফা দাবির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নতুন আরেকটি দাবি। এখন মোট ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। দাবিগুলো হলো:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু।
২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কোনো ধরনের কাটছাঁট না করে তা অনুমোদন।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস বা পদক্ষেপ না আসায় আন্দোলন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
ইউ