ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ৩০ এপ্রিল ২০২৫

English

জাতীয়

যেসব মামলার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জরুরি

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৭:১০, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

যেসব মামলার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জরুরি

ফাইল ছবি

বাদী জানেন না আসামি কে? ধারাবাহিকভাবে দায়েরকৃত এ ধরনের মামলার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ মন্তব্য করে।

বিবৃতিতে বলা হয়,  ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে বিগত সরকারের পতনের পর গণঅভ্যুত্থানে হতাহত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে দায়েরকৃত বেশকিছু মামলায় সমন্বয়হীনতা বা অসামঞ্জস্যতার অভিযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সব মামলায় আসামি গ্রেফতারের নামে হয়রানির অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করায় ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দায়েরকৃত মামলাসমূহ। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় মামলা করার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব মামলায় কাউকে ফাঁসানো বা হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করা হলে, তা মানবাধিকারের পরিপন্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাদের নেতৃবৃন্দকে গোয়েন্দা হেফাজতে আটক রাখার ঘটনায় সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্না আদালতে আইনগত পদক্ষেপ নেন; অথচ তাকেও একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল মোতালিব। এ ঘটনায় মোতালিবের বাবা আব্দুল মতিন মামলা দায়ের করেন, একই ঘটনায় মো: মাছুম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তিও মামলা দায়ের করেছেন। বাদীর সঙ্গে ভিকটিম পরিবারের কোন পূর্ব পরিচয় নাই বলে নিহতের বাবা দাবি করেছেন, যা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি মামলায় অভিনেতা ইরেশ জাকের সহ অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক অন্তর্ভূক্তি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করাই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা কখনো কখনো আইনকে ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের হয়রানির ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন সময়ে ‘গায়েবী’ মামলার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমান সরকারের সময়েও ‘গায়েবি মামলা’ ফিরে এসেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কেননা ঘটনাস্থলে কখনোই উপস্থিত ছিলেন না এমন ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে বেশ কিছু মামলার এজাহার ও আসামি একই।

জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ প্রতিটি অপরাধের বিচার করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেভাবে ঢালাও মামলা হচ্ছে, তা অগ্রহণযোগ্য। হত্যা মামলার বিচার হয় সুষ্ঠু তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামতের ভিত্তিতে। অথচ অনেক মামলায় আসামি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে অথবা ভিন্ন উদ্দেশ্যে। কেননা মামলায় এমন অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যার সঙ্গে ঘটনার ন্যূনতম সম্পর্ক নাই।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, ঘটনার সঙ্গে ন্যূনতম সম্পর্ক নাই, এমনকি বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত এবং গণমাধ্যমকর্মী যারা আসামি হয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, অনতিবিলম্বে তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দিতে হবে।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

মোবাইল কোর্ট অভিযানে জরিমানা ও সতর্কবার্তা জারি 

মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি

হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত

এস আলমের দুটি কারখানা নিলামে

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শফিকুল

‘দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি সরকার’

এবার নুসরাত-অপু-ভাবনা-জায়েদ খানের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

স্টারলিংক পেল বিটিআরসির লাইসেন্স

অপু -নিপুন-জায়েদ খান-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা

২০২৭ সালের জুনের পর থাকবে না করছাড়

ভারতের হামলা ’আসন্ন’ বলে দাবি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর