ছবি সংগৃহীত
মারা গেলেন আলোচিত সেই জল্লাদ শাহজাহান। সোমবার (২৪ জুন) ভোর ৫টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামিসহ ২৬ আসামির ফাঁসি দিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসে ‘জল্লাদ’ শাহজাহান।
জল্লাদ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার কর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
শাহজাহান ভূইয়া ১৯৯১ সালে গ্রেফতার হন। তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ভালো কাজ ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার সাজার মেয়াদ ১০ বছর মওকুফ (রেয়াত) করা হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের কাশেম আলীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান। সেখানে আজ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার বুকে ব্যথা উঠে। পরে বাড়ির মালিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জল্লাদ শাহজাহানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার বোন ফিরোজা জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ গ্রহণ করতে দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হাসপাতালে পৌঁছেছি। হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি পলাশের ইছাখালীতে নিয়ে আসা হবে। পরে সেখানে তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান দীর্ঘ ৩২ বছর ছয়মাস দুইদিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগারের তথ্যানুযায়ী, শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ ঘাতক, ৬ জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন।
ইউ
