![আনারের মরদেহ ফেলার সন্দেহভাজন কলকাতায় গ্রেপ্তার আনারের মরদেহ ফেলার সন্দেহভাজন কলকাতায় গ্রেপ্তার](https://www.womeneye24.com/media/imgAll/2022July/৪৫৬-2405230806.jpg)
ছবি সংগৃহীত
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ।
হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়ার সঙ্গে সিয়াম জড়িত বলে কলকাতা পুলিশ সন্দেহ করছে। বুধবার গভীর রাতে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে কলকাতার নিউটাউন থানার পুলিশ। এরপর তাকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।
তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার জট খুলছে না এখনো। তার ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তের জন্যে ভারতের পুলিশের একটি বিশেষ দল ঢাকায় আসছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আনারের মরদেহ পাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কলকাতা পুলিশের ধারণা, আনারকে সঞ্জীভা গার্ডেনে হত্যা করার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করার পর অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খণ্ডিত মরদেহ এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে এরমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। কলকাতায় খুন হলেও, তার হত্যাকারীরা বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১২ মে ভারতের কলকাতায় যাওয়ার পর দুইদিন পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের এই সংসদ সদস্য। চিকিৎসার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আনার ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান।
কলকাতায় তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। দুইদিন সেখানে থাকার পর বেরিয়ে যান বেরিয়ে যাওয়ার পর আর তার খোঁজ মেলেনি।
এরপর বুধবার সকালের দিকে তার খুনের খবর সামনে আসে। জানা যায়, কলকাতার কাছেই নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনের (ব্লক ৫৬ বিইউ) একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।
কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আনারকে সঞ্জীভা গার্ডেনে হত্যা করার পর মরদেহ অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তবে মরদেহ পাওয়া নিয়ে পরিষ্কার করে তারা বলছে না এখনও।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এরমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল।
শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। তিনি ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। শাহীনের ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র।
হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে। কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক কষে বাংলাদেশে আসেন শাহীন। পরে আমানসহ ছয়জন মিলে এমপি আজিমকে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের একটি ফ্ল্যাটে ট্র্যাপে ফেলে ডেকে আনেন।
এরপর তাকে জিম্মি করে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে ফেলা হয় অজ্ঞাত স্থানে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, সিলিস্তি রহমানের দিয়ে ট্র্যাপে ফেলে ফ্ল্যাটে আনা হয় আনারকে। হত্যার পর আনারের মরদেহের টুকরোগুলো গুম করতে সিয়াম ও জিহাদ নামের দুজনকে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকায় চলে আসেন গ্রেপ্তার হওয়া আমান।
ইউ