ছবি সংগৃহীত
বগুড়ায় তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাবতলীতে একটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাহিরে দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাঝপাড়া কুসুুম কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন-কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী এবং আনারস প্রতীকের এজেন্ট এরশাদ আলী।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন জানান, প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সীলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বক্সে ফেলানো হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুড়ি উদ্ধার করা হয়। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও এদিন বেলা ১২টার দিকে একই উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দুটি বুথে জাল ভোট দেয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন-হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এটিএম আমিনুর ইসলাম এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, সকাল ১০টায় কেন্দ্রে প্রায় তিন থেকে চার লাইন পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে উপরে ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ছিলো। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমা ঘটনাস্থলে এসে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এদিকে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দাবি ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়।
ইউ