ফাইল ছবি
হজ ভিসা আবেদনের মেয়াদ ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সৌদি আরব। আবেদনের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও, ৬০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা আবেদন জমা পড়েনি। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে মেয়াদ বাড়ায় সৌদি আরব। এদিকে, সময়মতো ভিসা না পাওয়ায় অনেক এজেন্সি এখনো সৌদি আরবে বাড়িভাড়া করতে পারেনি। ৯ মে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।
এ বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, হজযাত্রীদের ভিসা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কেন না প্রথম ফ্লাইটে ৮৫ হাজার ৮৫ জন নিবন্ধনের মধ্যে ২০ হাজরের মতো ভিসা হয়েছে। বাকীদেরও ভিসা হয়ে যাবে ধারাবাহিকভাবে। এক্ষেত্রে সুবিধা পাবে সৌদি সরকার। তারা তাদের স্বার্থেই ভিসা দিবে। গতবছরের চেয়ে এবার কম যাচ্ছে কারণ গত এক বছরে ৫ লাখের মতো মানুষ ওমরা করতে গেছে। আবার বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের প্রভাবের কারণেও সংখ্যা কম হয়েছে। গতবছরের চেয়ে সহায়ক টিম হিসেবে সরকারি খরচে কম লোক যাচ্ছে। এবার মাত্র ১৩৩ জন যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ কোটা দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত খরচের কারণে সে কোটা পূরণ হয়নি। শেষ পর্যন্ত গাইডসহ বেসরকারি ভাবে ৮০ হাজার ৬৮৮ জন, আর সরকারি ভাবে ৪ হাজার ৪১৮ জন সৌদি আরবে যেতে পারবেন বলে নির্ধারিত হয়।
কোটা পূরণ না হওয়াসহ জটিলতা কাটছে না এবারের হজযাত্রায়। এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হজ ফ্লাইট। ভিসা না পাওয়ায় অনেক এজেন্সি এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়াই করতে পারেনি। অন্যদিকে, সব হজযাত্রীর ভিসা এখনো হয়নি।
এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব।
হাবের সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজযাত্রীদের বাড়িভাড়ার ভিসা সময়মতো পাওয়া যায়নি। ঠিক সময়মতো পাওয়া যায়নি, এমনটিও আসলে নয়। এ বছর এই ভিসা দেওয়াই হয়নি। এই প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাইভেট এজেন্সিগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
তবে এসব জটিলতা কাটিয়ে, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কথা বলছে ধর্মমন্ত্রণালয়। তাদের আশা নিবন্ধন করা সব হজযাত্রীই সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজামান বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনার ঘাটতির বিষয়ে কোনোকিছু বা কোনো মেসেজ আমাদের কাছে আসেনি। এ ছাড়া কোনো এজেন্সি থেকেও বলা হয়নি যে, তারা কোনো জটিলতায় পড়েছে বা কোনো সমস্যা হচ্ছে। যে বিষয়গুলো রয়েছে, সবগুলোই প্রক্রিয়াধীন।’
এসব হজযাত্রীর জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ তিনটি এয়ারলাইনস আগামী ৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
ইউ