
ছবি সংগৃহীত
স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট ও মেকআপ নিয়ে মানুষের নানারকম ভুল ধারণা আছে। তার মধ্যে মানুষের কাছে সব থেকে বেশি ভুল তথ্য রয়েছে সানস্ক্রিন লোশন ও সানব্লক ক্রিম নিয়ে। ভুল ধারণাগুলো সংশোধন হওয়া দরকার।
শুধু রোদ উঠলেই সানস্ক্রিন লাগাতে হয়- এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা
শুধু কড়া রোদেই নয়, যতক্ষণ দিনের আলো থাকে ততক্ষণ সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থাকে। মেঘ বৃষ্টিতেও তার থেকে রেহাই নেই। শীতকালে আবছা রোদেও নিস্তার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকী পানির দেড় ফুট গভীরেও এই রশ্মির প্রভাব থাকে। তাই সব ঋতুতেই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সানস্ক্রিনের দরকার আছে।
বেরনোর সময় একটু সানস্ক্রিন লাগালেই কাজ হবে- এটাও ভুল ধারণা
এটাও ঠিক নয়। বেরনোর অন্তত ৪৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লোশন বা সানব্লক ক্রিমের ঘন প্রলেপ দিন। এতে ত্বকের ‘হর্নে’ লেয়ারে পৌঁছে কাজ করবে সানস্ক্রিন। অল্প পরিমাণে নয়, বেশ পুরু প্রলেপ না দিলে ত্বক রক্ষা পাবে না। শুধু তাই নয়, কয়েক ঘণ্টা পরপর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে আবার নতুন করে সানব্লক ক্রিম বা লোশন লাগবেন।
বাড়িতে থাকলে সানস্ক্রিন দরকার নেই- এটা খুবই ভুল ধারণা
বাড়িতে থাকলেও কিন্তু এই ‘ইউভি রে’ থেকে নিস্তার নেই। কারণ আপনি তো সারাদিন দরজা জানলা বন্ধ করে এসি চালিয়ে বসে থাকতে পারবেন না। বারান্দায় কারণে অকারণে যেতে হতেই পারে। খোলা জানলা দিয়েও ক্ষতিকর ইউভি রে আসে। তাই বাড়িতেও দিনের বেলা সানস্ক্রিন লাগাবেন।
সানস্ক্রিন লাগালে গায়ের রঙ ফর্সা হয়- এটা একেবারে ভুল ধারণা
সান ট্যান হলে গায়ের রঙে কালচে ছোপ পড়ে। তাই কালো দেখায়। নিয়ম মেনে সানস্ক্রিন লাগালে ত্বকে একটা প্রটেকশন লেয়ার তৈরি হয়। ফলে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রে-র প্রভাব কম পড়ে অর্থাৎ সান ট্যান কম হয়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে সানস্ক্রিন লোশন ফেয়ারনেস ক্রিম বা ট্যান রিমুভাল ক্রিম। বলা যায়, পরোক্ষ ভাবে এটি ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। কারণ সানস্ক্রিন ত্বকে কালো ছোপ পড়তে দেয় না।
যেকোনো পাওয়ারের সানস্ক্রিন একই কাজ করে- এটা সব থেকে ভুল ধারণা
যেকোনো নামী ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিনে এসপিএফ বা পাওয়ার থাকে অনেকরকম। সাধারণত এসপিএফ ১৫ থেকে এসপিএফ ৬৫ অবধি পাওয়া যায় সানস্ক্রিন লোশন ও ক্রিম। বাড়িতে থাকলে এসপিএফ১৫ যথেষ্ট। যারা রাস্তায় ঘুরে কাজ করেন তারা অবশ্যই এসপিএফ৬৫ ব্যবহার করবেন। এখন বেশ কিছু মেডিকেটেড সানস্ক্রিন লোশন বা জেল বাজারে এসেছে যেগুলোতে এসপিএফ ১০০ পর্যন্ত পাওয়ার থাকে। তবে এগুলো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লাগাবেন। দ্য ওয়াল
ইউ