ফাইল ছবি
ঋতুস্রাবকালে অনেক নারীই ভোগেন অসহ্য যন্ত্রণায়। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধেও কমে না এই ব্যথা। ক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় হয়তো। পিরিয়ডের এই দিনগুলোতে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্লিনিক্যাল নিউট্রশনিস্ট শ্রেয়সী ভৌমিক এ বিষয়ে জানালেন কিছু খাবারের কথা যা ওই ক’টা দিন পাতে রাখলে উপশম মিলবে অনেকটাই।
সকালের প্রাতঃরাশে রাখুন কলা। কলায় থাকা ভিটামিন বি-এর মতো পুষ্টিগুণ মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। কলা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ যা জল ধারন কমাতে সাহায্য করে, ফলস্বরূপ পেটের ফোলা ভাব কমে।
ঋতুস্রাবের দিনগুলোয় প্রাণভরে খান আপনার প্রিয় ডার্ক চকোলেট। এটি পিরিয়ডের সময় অবিশ্বাস্য ভাবে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ক্লান্তিকর দিনগুলোতে আপনার মেজাজ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকলেটে থাকা কোকো। মনে রাখবেন, চিনি যুক্ত সাদা চকলেট আপনার পিরিয়ডের ব্যথাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।
আমরা সবাই জানি যে সবুজ শাক সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বিশেষজ্ঞের মতে, একগুচ্ছ পালং শাক আপনার মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন ই, ভিটামিন বি এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর সবুজ শাক সবজি পিরিয়ড ক্র্যাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করে। স্যালাড কিংবা অল্প তেলে রান্না করে খান পালং শাক।
এছাড়া আরাম দেবে এক কাপ আদা চা। প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে আদা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি বমি বমি ভাব এবং পেট খারাপের জন্যও ভাল। কয়েক টুকরো আদা জলে ফুটিয়ে নিন। এক চিমটি গোল মরিচ এবং মধু দিন। এর পর অল্প চা পাতা দিয়ে ছেঁকে নিন। আরাম পেতে পিরিয়ডের সময় এই চা পান করুন। এছাড়া মৌরি ভেজানো জলও এই সময়টাতে খাওয়া ভাল।
পিরিয়ড হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই সচেতন থাকুন। এক সপ্তাহ আগে সকালে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ ও কেশর খান। সঙ্গে একটু চীনাবাদাম বা কয়েকটা কাজু। সব সবজি দিয়ে একটু খিচুড়ি, গরম ভাতে অল্প ঘি মাসের ওই কয়েকটা অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখুন। আজকাল
ইউ