ফাইল ছবি
কোরবানির সময় রাজধানীর অন্যতম বড় ও জনপ্রিয় পশুর হাট আফতাবনগরে এবার আর পশুর হাট বসানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্ট আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন। এর ফলে কোরবানির সময় সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
গত ২২ এপ্রিল আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে চার এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসাসে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে আফতাবনগরসহ ১১টি হাটের কথা উল্লেখ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির পরই আফতাবনগরে হাটের অংশ বাতিল চেয়ে সিটি করপোরেশনকে আইনি নোটিশ দেন ইউনুছ আলী আকন্দ। তাতে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে যান।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি কর্মকর্তাসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। ওই এলাকার কাউন্সিলরও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এবং ২০২৩ সালে উত্তর সিটি পশুর হাটের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিলে রিট করার পর হাইকোর্ট স্থগিত করেন।
পরে আপিল করলে শুধু ২০২৩ সালের জন্য এল ব্লকের পর থেকে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এর ফলে গতবছর এল ব্লকের পর থেকে পশুর হাট বসে ঠিকই, কিন্তু এ থেকে এইচ ব্লক পর্যন্ত পশুর হাট বসানো হয়নি।
দেশের অন্যতম আবাসন কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মালিকানায় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে আফতাবনগরকে। পূর্ব ঢাকার পরিকল্পিত এই আবাসন এলাকায় প্রায় সাত হাজার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পরিকল্পিত আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন।
ইউ