
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট শিশুদের হার্টের রিং, পেসমেকারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকার অনুদানে ডিভাইস ক্রয় সম্পন্ন। শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদানে ক্রয়কৃত শিশুদের হার্টের রিং, পেসমেকার পাচ্ছেন দরিদ্র শিশুরা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের হতোদরিদ্র শিশু রোগীদের হার্টের রিং, পেসমেকার ও ভালব প্রতিস্থাপনের জন্য ২০২০ সালে ১০ কোটি টাকার এই অনুদান বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনিস্টিউটকে দিয়েছেন।’
পরিচালক বলেন, ‘শুধু দুঃস্থ-গরিব শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন এ অর্থ দিয়েছিলেন, জন্মগত শিশু হৃদরোগীদের বিনামূল্যে রিং ও পেসমেকার ক্রয়সহ চিকিৎসা সেবার জন্য।’ অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পরেই গত ৭ মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে ১০ কোটি টাকার ডিভাইস ক্রয় করা হয়েছে।’ ইতিমধ্যে হাসপাতালের স্টোরে ও প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যে ২ হাজারের অধিক শিশুর হার্টের জন্মগত ফুটোঅস্ত্রোপাচারসহ হার্টের রিং পেসমেকার ও ভালভস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অর্থ সহায়তায় দরিদ্র ও অসহায় শিশু রোগীদের বিনামূল্যে হার্টের রিং, পেসমেকার ও ভালব প্রতিস্থাপন কার্যক্রম খুব দ্রুত শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে শুরু হবে বলে ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানালেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যাচাই-বাছাই করে দরিদ্র রোগীদের এ সুবিধা দেয়া হবে।
হাসপাতালের পরিচালক শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে অনেক গরিব রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। কারণ এই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র রোগীদের হার্টের রিং, পেসমেকার ও ভালব প্রতিস্থাপনের জন্য এই অনুমাদন দিয়েছেন। এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের অনেক অসহায় শিশু রোগীদের হার্টের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক। তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের ফলেই গরিব রোগীদের এই সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
ইউ