ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, আশ্বিন ২৭ ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

English

ফেসবুক থেকে

আলোচিত ‘রাজাকার স্লোগান’ নিয়ে ফেসবুকে নাহিদের ব্যাখ্যা

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১২:২৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আলোচিত ‘রাজাকার স্লোগান’ নিয়ে ফেসবুকে নাহিদের ব্যাখ্যা

সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনে আলোচিত ‘রাজাকার স্লোগান’ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার’ এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাহসী স্লোগান ছিল। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে বিভাজনের রাজনীতি ছিল তা এই স্লোগানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছিল সেই রাতে। আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ সেই রাতেই ভেঙে গেছিল। অস্ত্র ও বুলেটের মাধ্যমে আরও কয়েকটা দিন টিকে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল কেবল।

‘ইতিহাস তো একরোখা কোনো বিষয় না। ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’; ‘আমি নই, তুমি নই; রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানও সেই রাতে বহুবার দেয়া হইছে। আন্দোলনে বহুস্রোত ও কন্ঠস্বর এসে মিলেছে। সবাই সবসময় এক বক্তব্য ধারণ করেছে এরকম নয়। বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ীও বক্তব্য-কর্মকৌশল বদল হইছে বহুবার। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগানও হইছে। স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষেও বহু গুণগান গাওয়া হইছে একসময়। ১৮ সালেও হাসিনা ও মুজিবের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন হইছে। পরে বুকে রাজাকার লিখে সেই আন্দোলন গতি পাইছে। একটা আন্দোলনে অনেক ডাইমেনশন থাকে এবং বহু পরস্পর বিরোধী ঘটনাও একসাথে ঘটতে পারে। এই সামগ্রিকতাকে ধারণ করেই প্রকৃত ইতিহাস রচিত হয়।’

নাহিদ আরও লিখেছেন, রাজাকার ইস্যুটিকে পরিকল্পিতভাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার প্রস্তুতি নেয়া হইছিল। এবং তার ফলশ্রুতিতেই পরদিন মিছিলে হামলা করা হয়। আর এ আন্দোলনে যেহেতু নারী শিক্ষার্থীরা ছিল মূল শক্তি, তাই মেয়েদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। তারপরের ঘটনা সকলেই জানেন। ফ্যাসিস্টদের শেষ রক্ষা হয়নি।

‘১৫ তারিখ সকালে আমাকে বহু মিডিয়া ফেইস করতে হইছে রাজাকার স্লোগানের ব্যাখ্যা দিয়ে। আমার ব্যাখ্যাটি ছিল অনেকটা এরকম— রাজাকার শব্দের কোনো প্রাসঙ্গিকতা এই আন্দোলনে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজাকার ইস্যুর অবতারণা করেছেন এবং শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে অপমান করেছেন। প্রতিউত্তরে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ‘রাজাকার’ বলে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে বিদ্রুপ করেছে, ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ট্যাগ দিয়ে এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। মূলত আন্দোলনকে দমন করার জন্যই রাজাকার ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে এ বক্তব্য অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।’

//এল//

ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

বিচার বিভাগের কাজের মাধ্যমেই নিরপেক্ষতা বোঝা যাবে: প্রধান বিচারপত

ভারতে পালানোর সময় আটক সাবেক যুগ্ম সচিব

রাজধানীতে সেনা ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি

শেখ হাসিনাকে ভারতের দেয়া ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টfর বক্তব্য

কোনো ম্যাচ না জিতেই বাড়ি ফিরছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু

রাকিব স্টালিনের কথা ও সুরে সালেহ বিশ্বাস গাইলেন ‘মনের মানুষ’

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করলেন‌ ড. ইউনূস

দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে: জ্বালানি উপদেষ্টা

নোয়াখালীতে থানায় পুলিশকে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৩

সুরমা নদী খননের নামে হরিলুট

নাট্যজন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন মারা গেছেন 

নবাবগঞ্জে কড়া নজরদারিতে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে: ধর্মসচিব