
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ১১০টি মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকfল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এবং জাতীয় সংসদ বর্তমানে কার্যকর না হওয়ায় এবার সংসদে বাজেট উত্থাপন করা হয়নি। পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বাজেটের মূল দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুধু ১১০টি পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারই নয়, আরও বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে—
* ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস,
* ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার,
* ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস।
* এছাড়া ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য নিয়েও বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। বাজেট বক্তব্যে বলা হয়—
* বর্তমানে বলবৎ সকল ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে,
* ৮৪টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার এবং
* ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি করে শুল্ক মূল্য যৌক্তিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাসের ঘটনা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সরকার কার্যকর নীতিগত পরিবর্তনের পথে হাঁটছে, যার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এই শুল্ক পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য।
ইউ