
সংগৃহীত ছবি
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক নাইমা খাতুনের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক নাইমা খাতুনের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।
বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র এবং ডোনাদি রমেশের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এএমইউ আইন, আইন এবং বিধিমালায় বর্ণিত পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে বলে তার নিয়োগ বহাল রেখেছেন।
নাইমা খাতুনের নিয়োগ প্র্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে রিট করেন অধ্যাপক মুজাহিদ বেগ। তার এই রিটের রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, অধ্যাপক নাইমা খাতুনের স্বামী অধ্যাপক মোহাম্মদ গুলরেজ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নির্বাহী পরিষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের সভা পরিচালনা করেছেন, কিন্তু নাইমার নিয়োগে তার ভূমিকা সীমিত ছিল এবং তা বহুস্তরীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত প্রেস বিবৃতি অনুসারে, হাইকোর্ট স্বীকার করেছে যে উপাচার্য নিয়োগের চূড়ান্ত ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ভারতের প্রেসিডেন্টের হাতে এবং এতে কোনো অসততার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
রায়ে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অধ্যাপক নাইমার যোগ্যতা বিতর্কিত নয় এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত তার নিয়োগ সম্মান এবং স্বীকৃতির দাবি রাখে।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক নাইমা খাতুন ২০২৪ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরেরও বেশি ইতিহাসে প্রথম মহিলা উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ইতিহাস গড়েন। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিলেন নাইমা খাতুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সেই বিভাগেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। অধ্যাপক হন ২০০৬ সালে। এরপর ২০১৪ সালে ওমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন তিনি।
//এল//