ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, শ্রাবণ ১২ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪

English

বৃত্তের বাইরে

নেত্রকোণার সফল নারী উদ্যোক্তা পপি

মো. শফিকুল ইসলাম, নেত্রকোণা থেকে

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১৯ আগস্ট ২০২৩

নেত্রকোণার সফল নারী উদ্যোক্তা পপি

ছবি: নেত্রকোণার সফল নারী উদ্যোক্তা পপি...

নেত্রকোণা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কারলী গ্রামের সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন হেনরী আমিন পপি। তার প্রতিষ্ঠিত রাবেয়া ফ্যাশন হাউজে শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন কাপড়ে নকশী তৈরী করা হয়। তার এখানে এলাকার অনেক নারীরা কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী নারীরা। 

হেনরী আমিন পপি ছোটবেলা থেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতেন। বিয়ের পর স্বামীর সংসারে থেকে বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিল। আর সেই সব বাধা পেরিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে তৈরি করেন রাবেয়া ফ্যাশন হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পূরণ হয়েছে অনেকদিনের স্বপ্ন। ১২০ জন নারীকর্মী কাজ করছে তার এখানে। কাপড়ে বিভিন্ন নকশা ও ছাপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা। লাভবান হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে। দরিদ্র সংসারে যোগান দিচ্ছে বাড়তি টাকা। সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীরাও।

কারলী গ্রামের মোছা. বকুল, লিজা আক্তার, জেসমিন আক্তার, শিক্ষার্থী নাসরিনসহ অনেক নারী কর্মী বলেন, হেনরী আমিন পপির প্রতিষ্ঠিত রাবেয়া ফ্যাশন হাউজে শাড়ী, পাঞ্জাবী, থ্রি-পিস, কোশন কভারসহ বিভিন্ন ধরনের হাত ব্যাগে দৃষ্টিনন্দন নকশী এবং কাপড়ে নানা ডিজাইনের ব্লক করা হয়। কাপড়ে বাহারী ডিজাইনের নকশা তৈন করা হয়। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি নারীরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে সংসারে বাড়তি আয় হচ্ছে। কমে যাচ্ছে দারিদ্রতা। শিক্ষার্থীরাও কাজ করে লেখাপড়ার খরচ যোগান দিচ্ছে। ফলে গ্রামীণ সমাজে দ্রুত পরিবর্তন আসার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

নারী উদ্যোক্ত হেনরী আমিন পপি বলেন, ‘গ্রামের বধূ হয়ে শহরে গিয়ে কাজ করা নিষেধ ছিল স্বামীর পরিবারের লোকজনের। আর শত বাধা পেরিয়ে সেলাই কাজে স্বাবলম্বী হয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। এক সময় গ্রামের সবাই আমাকে নিয়ে সমালোচনা করত। এখন আবার তারাই বলে আমি তাদের অনুপ্রেরণা। আমার ৩ হাজার ৫ শ টাকার পুঁজি বর্তমানে ২৫ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে আমার দেশীয় পণ্য ৬৩টি জেলায় যাচ্ছে। দেশের বাহিরে স্পেন, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেন, সুইডেনসহ অনেক দেশে যাচ্ছে আমার পণ্য। আমি চাই সমাজে অবহেলিত সব নারী এভাবে এগিয়ে আসলে তারাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।’

নেত্রকোণা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উপ-ব্যবস্থাপক মো. আক্রাম হোসেন বলেন, ‘পপির এখানে কাজ করে অনেক অবহেলিত নারী স্বাবলম্বীর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। তবে তার মত অন্য নারী উদ্যোক্তদেরও সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। দেশে অবহেলিত নারীদের কর্ম সংস্থানে বিভিন্নভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে সরকার, এমনটিই প্রত্যাশা করেন জেলাবাসী।’

ইউ

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে যা জানালেন সারজিস

আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

নিরাপত্তার জন্য ডিবি হেফাজতে তিন সমন্বয়ক

৬ দিন পর ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি মান্দিসা মায়া

নারী সাংবাদিককে হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ নাগরিকের বিবৃতি

মেট্রো স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে

সহিংসতায় ঢাকায় ২০৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩৫৭

শনিবার কারফিউ নিয়ে নির্দেশনা

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের কম গতির কারণ জানা গেল

শনিবারের মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল