ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০, ০৮ জুন ২০২৩

English

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের যে গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ

মনসুর আহাম্মেদ, ঠাকুরগাঁও থেকে

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২১ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ১৬:১০, ২১ মার্চ ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের যে গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ

ছবি: বিদ্যুতহীন গ্রামের শিক্ষার্থীরা কুপি দিয়ে পড়াশোনা করছে...

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে খেকিডাঙ্গী গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। কাজ শেষ না করেই সিমেন্টের খুঁটি ফেলে রেখে চলে গেছেন ঠিকাদার। লাইন নির্মাণ না হওয়ায় বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই গ্রামের প্রায় এক’শ পরিবার। চরম অসুবিধায় মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের। 

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, উপর মহলের নির্দেশে লাইন নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের খেকিডাঙ্গী গ্রামে প্রায় এক’শ পরিবারে বিদ্যুৎ পৌছানোর লক্ষ্যে ১.৩৩ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন নির্মানের পরিকল্পনা করেন ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সে লক্ষ্যে ২০২০ সালে মাঠ জরিপ ও নকশার প্রনয়ন করে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়। জনৈক লুৎফর রহমান নামে এক ঠিকাদার লাইন নির্মানের কার্যাদেশ পান। লাইন নির্মানের জন্য ১৮টি সিমেন্টের খুঁটি এনে ঐ গ্রামে ফেলেন ঠিকাদার লুৎফর। ৫টি খুঁটি পুতেন। এরপর একটি বহুজাতিক কোম্পানীর স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন। বন্ধ হয়ে যায় লাইন নির্মান কাজ। এরপর আর ঠিকাদার সেখানে যাননি।

খেকিডাঙ্গী গ্রামের আলম ও জামালসহ বেশ কয়েকজন জানান, তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেয়ার জন্য তারা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে লাইন বরাদ্দ করান। 
কিন্তু বাধার কারণে সেখানে লাইন নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তারা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু কাজ হচ্ছে না।

তারা আরো জানান, তাদের গ্রামটি অবহেলিত ও সীমান্তবর্তী। সেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি রয়েছে। তার বাড়িতেও বিদ্যুৎ নাই। সবাইকে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। সন্ধা নামলেই সেখানে নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন তারা। ছেলে মেয়েরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারে না। রাতের বেলা হারিকেন কিংবা কেরোসিনের কুপি (চেরাগ) দিয়ে তাদের সব কাজ সারতে হয়। কোন দিন কেরোসিন তেল না থাকলে সেদিন বাচ্চাদের লেখা-পড়া বন্ধ থাকে। এ গ্রামে কোন মানুষ বিয়ে সাদি দিতে বা করতে চায় না অন্য এলাকার মানুষ। বিদ্যুৎ নিয়ে এখানকার নব দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হচ্ছে। শুধু তাই না বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘড়ে ঘড়ে বিদ্যুৎ’ এ শ্লোগান এখানে কাজে আসছে না। আমি দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছি। দেশে আজ এত উন্নয়ন। অথচ আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নাই। আমিও ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেছি কিন্তু বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। খুটি গুলি অবহেলা অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পীরগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বাধার কারণে সেখানে লাইন নির্মান বন্ধ করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে কাজ করা হবে।’

ইউ

৩ দিনে ভারত থেকে ৮৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানি

পিরোজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের বাবার মৃত্যু

স্বর্ণের দাম আবার বাড়ল

টিটু ছিল দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ: বেগম রওশন এরশাদ

৬ জন পাচ্ছেন চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক

‘নারীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য নারীবাদী নেতৃত্বের প্রয়োজন’

বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পক্ষে জাপার গণসংযোগ

ঢাকায় বেড়েছে ডায়রিয়া

করোনায় নতুন ১০৩ জন শনাক্ত 

দেশ থেকে প্রশিক্ষিত নার্স নিতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

যেসব এলাকায় গ্যাস বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার

বিদ্যুৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুখবর

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২ আক্রান্ত ১৪৭ জন

বিএনপি নেতা চাঁদ দুই দিনের রিমান্ডে

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ৩০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ

SBACBank