
ফাইল ছবি
বরিশালের বানারীপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে, বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাথী আক্তার জানান, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে স্কুলে মুল্যায়ন পরীক্ষা শেষে আত্মীয় কাওসারের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একটি সিএনজি ও কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইকে করে আসা একদল যুবক তাদের গতিরোধ করে।
এ সময় অভিযুক্ত সালমান খান হৃদয় (মাদারকাঠী গ্রামের আ. ছালামের ছেলে) এবং চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদার (চাখার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির সরদারের ছেলে) সহ অন্তত ৫-৭ জন মিলে মোটরসাইকেল থেকে জোরপূর্বক ছাত্রীটিকে নামিয়ে সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। বাধা দিলে কাওসারকে মারধর করা হয় এবং তার মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা।
পরবর্তীতে মেয়েটির ফুফা মোস্তফা মোল্লা ও ফুফু রুনু বেগম অপহরণকারীদের রুখতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হন। ঘটনার পর রাতেই বানারীপাড়া থানায় সালমান হৃদয় ও তামজিদ মিরনসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর মা।
সাথী আক্তারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সালমান হৃদয় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় তিনি আগেও বরিশাল আদালতে মামলা করেন। আদালতে উপস্থিত হয়ে হৃদয় মুচলেকা দিয়েছিল যে, সে আর ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও সে এবং তার সহযোগীরা একই কায়দায় উত্ত্যক্ত করতে থাকে। সম্প্রতি মেয়েটির নানা এ বিষয়ে হৃদয়ের পরিবারের কাছে বিচার চাইলে তাকে মারধর করে আহত করা হয়।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোস্তফা জানান, “ঘটনার দিন রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
ইউ