ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪

English

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে হাতপাখা তৈরিতে ব্যস্ত হস্তশিল্পীরা

মনসুর আহমেদ, ঠাকুরগাঁও থেকে

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ৪ মে ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে হাতপাখা তৈরিতে ব্যস্ত হস্তশিল্পীরা

ছবি সংগৃহীত

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখন শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন মানুষ। আর সে জন্যই কদর বেড়েছে হাতপাখার। আর এই চাহিদা মেটাতে পাখা তৈরির ধুম পড়েছে এলাকাগুলোতে । পাখার চাহিদা মেটাতে কারিগরেরা সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। কয়েক বছর আগেও গরমের দিনে হাতপাখাই ছিল সহায়। ঘরে ঘরে ছিল এর কদর। এখন বৈদ্যুতিক পাখা আর এয়ার কন্ডিশনের দাপটে কমেছে হাতপাখার ব্যবহার। তবে এবারের টানা তাপপ্রবাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে তৈরি পাখার। ব্যস্ততাও বেড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার হাতপাখা শিল্পীদের। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামটি হাতপাখার গ্রাম বলে পরিচিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ পেশার সাথে জড়িত। লস্করা গ্রামে এখন হাতপাখা তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। কেউ বাঁশ আনছেন, কেউ বুনছেন, কেউ করছেন রং, আর নারীরা তাতে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারি রকমের ডিজাইন। তালপাখা, বাঁশের পাখা ও সুতার পাখা তৈরি করেন তারা। হাতপাখা তৈরি করেই স্বাবলম্বী গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার। বাড়ির কাজের পাশাপাশি হাতপাখা তৈরি করে থাকেন গ্রামের নারীরা। স্কুলের অবসরে শিশু-কিশোররাও কাজ করে। বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন পুরুষরা। পাইকারি দরে একটি পাখা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গরমের দিনে অল্প দামের এই পাখাতেই গ্রামীণ মানুষের আস্থা।

তবে বাঁশ, সুতা সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখছে না পাখা তৈরির কারিগরেরা। মুদি দোকানি বিশ্বজিৎ বলেন, একদিকে গরম অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং  মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। হাতপাখার দাম কিছুটা বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হয়। তবে হাতপাখায় স্বস্তি পাওয়া যায়।  ইসলাম বলেন, গরম আর বিদ্যুৎ লোডশেডিং দুটোতেই মানুষ অতিষ্ঠ। বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ চার্জার ফ্যানও কাজ করে না। সে জন্য হাতপাখাই এখন ভরসা। হাতপাখার বাতাস অনেক ঠান্ডা।

স্কুল শিক্ষার্থী মলিন চন্দ্র বলেন, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি পাখা তৈরির কাজ করি। গরমে স্কুল বন্ধ, খেলাধুলা করা যায় না। সে জন্য বসে বসে আমরা পাখা বানাই। যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের হাত খরচের টাকা হয়ে যায়। হাতপাখা কারিগর চন্দনা রাণী বলেন, আমরা সংসারের কাজের পাশাপাশি এই হাত পাখা তৈরি করি। এভাবে আমাদের কিছু আয়। এতে সংসারে উন্নতি হয়েছে। আমরা মহিলারা পাখা বানাই আর পুরুষেরা সেই পাখা বিক্রয় করে। আমরা এ গ্রামের সবাই এই পেশার সাথে জড়িত।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে হাতপাখা তৈরির কাজ করছি। গরম কম হোক আর বেশি হোক এটা আমাদের পেশা।

ব্যবসা আর টুকটাক কৃষির পাশাপাশি আমাদের গ্রামের সবাই এ পেশার সাথে জড়িত। সকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা পাখাগুলো পাঠাই। তবে আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এর পরিধি আরো বাড়ানো যাবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ায় হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

ইউ

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

‘নিপুণের চিকিৎসার প্রয়োজন’

‘৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা’

র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি যুক্তরাষ্ট্র

এক মাছ ধরেই কোটিপতি তরুণ!

চার বিভাগে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

স্নাতক পাসে ৫ জেলায় অফিসার নেবে সিটি ব্যাংক

১০ সহস্রাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে যতদিন

নিপুণের রক্তে সমস্যা আছে, বললেন ডিপজল 

‘৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো’

মাদ্রিদে দেশী শাক সবজি আমদানি

দীপিকার ‘সোনোগ্রামের ছবি’ ভাইরাল!